Monday, October 23, 2017

আধ্যানের ডায়েরী - বাবার সাথে একা (শেষ পর্ব)



হ্যা আমার একটা খাঁচা আছে। আমার একেবারে ভালো লাগেনা ওর মধ্যে বসে থাকতে।  কিন্তু যখনিই বাবা মার কিছু কাজ করার থাকে, আমাকে বসিয়ে দে ওই খাঁচার মধ্যে।  আমি যখন আমার সো কল্ড এক্সপেরিমেন্ট গুলো করি, তখন মাঝে মাঝেই অর্ধেক এক্সপেরিমেন্ট ছেড়ে আমাকে এর মধ্যে বসে থাকতে হয়।  কি জ্বালাতন।  আমি কেঁদে তোলপাড় করলেও মা একেবারেই পাত্তা দেয় না।  কিন্তু বাবাকে ম্যানিপুলেট করা বেশ ইসি।  আমার ভুবনভোলানো হাসিটা দিলেই ব্যাটা কাৎ।   কোলে তুলে নিলেই হলো , তারপর তো আমার এস্কেপ রুট আছেই।  সেটাই আমি রোজ রোজ ইমপ্লিমেন্ট করতে লাগলাম।  আর বাবা আমাকে খাঁচা থেকে তুলে বাইরে বার করতেই আমি আমি আবার দৌড়। 

খাঁচার পাশেই থাকে টিভিটা।  টিভিটার পেছনের যে জায়গাটা সেখানে কিছুতেই আমি পৌঁছাতে পারছি না।  কত মাস ধরে চেষ্টা করছি।  এখন তাই ওই জায়গাটা জিনিস ফেলে ফেলে বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।  উঁকি মেরে দেখেছি, প্রচুর তার।  ওটাও হয়তো ওই ডাস্টবিনের মতোই।  তাই বাবা বা মা আমাকে ওই জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।  সেদিন কি মনে হলো , দিলাম টিভিটাটাকে এমন ধাক্কা যে ওটা কাৎ হয়ে গেলো।  ভাগ্যিস পেছনে পরে যায়নি।  নাহলে বাবা আমার ছাল চামড়া গুটিয়ে ফেলতো। 

যাইহোক খেলা যখন চলতে থাকে , তখন মায়ের আসার সময় হয়ে যায়।  এই সাত দিনে দেখলাম বাবার কাছে ছেড়ে রেখে দিয়ে মাও বেশ দেরী  করে আসছে।  আর বাবা যেন ফুঁসে উঠেছে।  মা যখন আগে ডে কেয়ার থেকে নিয়ে আসতো তার পর আমার লাঞ্চ হতো, তার পর স্নান।  স্নান করতে করতে প্রায় ছটা বেজে যেত।  কিন্তু মা কে ইমপ্রেস করতে কিনা কে জানে বাবা আমাকে সাড়ে তিনটের মধ্যেই বসিয়ে দিচ্ছে খেতে। 

প্রথম দিন যখন খেতে বসলো তখন আমি সদ্য ঘুম থেকে উঠেছি।  তখনও ঠিকঠাক  ঘুম ভাঙেনি।  দেখি টিভি চালু হয়ে গেলো।  আর টিভিতে আমার চু চু টিভি চালু হয়ে গেলো।  আর মুখের কাছে খিচুরির গন্ধ।  তখন কোথায় আড়মুড়ি ভাঙার সময়।  তা নয়।  মুখে খিচুড়ি ঠুসছে।  প্রথম দু তিনদিন খাওয়ানোর পরিমান ঠিক ঠাক ছিল কিন্তু দু তিন দিন পর থেকে দেখি বাবা হুটোপাটা করছে।  নরমালি আমি আধ চামচ খিচুড়ি একবারে গিলতে পারি।  এখন  দেখি মাঝে মাঝেই পুরো গোটা চামচ খিচুড়ি নিয়ে ঠুসে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা কি বীরত্ব না ওভার কনফিডেন্স।  দু চারদিন দেখে আবার আমার বমি রিপিট করতে বাবা ব্যাপারটা বুঝে গেলো।  বলপ্রয়োগের দ্বারা সব কিছু সম্ভব নয়।  ব্যাপারটা যদিও আমি যতটা বুঝিয়েছি , তার থেকে মা অফিস থেকে  এসে বুঝিয়ে দিয়েছে।  কারণ খিচুড়িতে মা হলুদ দেয়।  আর সেই হলুদ পড়ে কার্পেট গেছে হলুদ হয়ে। সে রং কি আর তোলা যায়।  ব্যাস মা খাপ্পা , বাবা পকেটে। 

মায়ের কাছে খেলে ব্যাপারটা বেশ কিছুটা আমার কন্ট্রোলে থাকে।  যখন ইচ্ছা একটু বমি করার ভান করি , আর মা আমাকে বেশ কিছুক্ষন রেস্ট দেয়।  এই রেস্টটা আমি ফুল ইউটিলাইজ করি টিভির সামনে।  টিভি দূর থেকে দেখে বিশেষ মজা নেই।  একেবারে সামনে চলে গেলে সব কিছু কি সুন্দর দেখায়।  টিভিতে কি হচ্ছে , কেন যে লোকে নাচছে , গাইছে আমি বিশেষ বুঝতে পারিনা।  আমি দেখি ওই রং বেরঙের জিনিস আর সুন্দর সুন্দর গান।  টিভির একেবারে কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে রং গুলো আরো পরিষ্কার দেখা যায় আর শব্দগুলো আরো পরিষ্কার শোনা যায়।  কিন্তু বাবার কাছে খাওয়া একদম মিলিটারি ডিসিপ্লিন।  একই ছন্দে একের পর এক চামচ এসে ঢুকতে থাকে।  প্রথম দিন বেশ অসুবিধা হয়েছিল।  কিন্তু এখন মানিয়ে নিয়েছি।  কারণ বাবা শোনার পাত্র নয়। 

সেদিন একচামচ মুখে পুরতেই দেখি আমার ফেভারিট , ' জনি  জনি  ইয়েস পাপা ' শুরু হয়েছে।  কিন্তু আগে যারা গাইতো তার গাইছে না।  অন্য লোকজন।  ঠিক করে ব্যাপারটা বুঝতে গিয়ে ভুলে গেছিলাম ঢোক গেলার রিদিমটা।  মুখে তখন খাবার।  দেখি বাবা আবার এক চামচ ঢুকিয়ে দিলো।  আমি ব্যাপারটা একোমোডেট করার চেষ্টা করলাম।  কিন্তু ততক্ষনে আরো এক চামচ এসে হাজির।  ব্যাস , গলায় আটকে কাশি এন্ড দেন বমি।  কিন্তু বাবা তাতেও ক্ষান্ত হয় না।  কত চামচ খাইয়েছে সেটা গুনতে থাকে।  মোটামুটি দুশো রিপিটেশনে আমার খাওয়া শেষ হয়।  কিন্তু বাবার যেন সেটাকেও চ্যালেঞ্জ করার অভ্যাস।  সেদিন  জোরে জোরে ঠুসে একশো সত্তরে শেষ করেছে।  সেটা আবার মা কে ফোন করে বললো।  আমার তখন আইঢাই অবস্থা। বাবার একটু দেখনদারী স্বভাব আছে।  মায়ের সামনে হিরো না হতে পারলে মনে হয় না ভাত হজম হয়।  তাতে কারো নাড়ি হজম হয়ে যাচ্ছে সেটা ভাবার বা বোঝার সময় হয় না বাবার। 

খাওয়া শেষে কিছুটা খেলার সময় দিয়ে তার পর স্নান করার পালা। বাবা এই জিনিসে বেশ যুগান্তকরী মোড় এনেছে আমার জীবনে।  আগে অনেকেই আমাকে স্নান করিয়েছে।  বেসিকালি আমি একটা ওয়াটার বেবি।  জল আমার খুব পছন্দ।  তাই স্নান করানোতে আমি বিশেষ ঝামেলা করিনা।  কিন্তু বাবা হাতে নেওয়ার আগে স্নানটা ছিল নেহাতই একটা করাতে হয় তাই করতে হয় টাইপ। মা কিন্তু দিব্যি গান চালিয়ে স্নান করে।  আমার বেলায় হুটোপাটি।  বাবা যবে থেকে হাতে নিলো , ব্যাপারটা এন্টারটেনমেন্ট পর্যায়ে নিয়ে চলে গেলো।  আগে সবাই ড্রপ ড্রপ তেল মাখিয়ে হুড়  হুড়  করে স্নান করিয়ে দিতো।  আর ঠান্ডা লেগে যাবে , ঠান্ডা লেগে যাবে বলে চ্যাঁচাতো।  বাবা শুরু করলো তেলে চোবানো।  এক গুচ্ছ তেল নিয়ে সারা গায়ে লেবরে দিতো প্রথমে।  তার পর শুরু হতো দলাই মলাই। সে কি আরাম।  বাবার গোল গোল টাইপ করা নরম নরম হাতের স্কীলড মেসেজ যে কি আরামের তা আর তোমাদের কি করে বলি।  তোমরাও ডাইপার খুলে চলে এস তাহলে বুঝবে। 

বেশ কিছুক্ষন আরাম খাইয়ে বাবা ছেড়ে দেয় আমাকে রোদ  খাবার জন্য। অনেক চেষ্টা করেও রোদ আমি খেতে পারিনি।  কি করে খেতে হয় সেটাও বুঝতে পারিনি।  আর সবথেকে বড় কথা , রোদ আমার বিশেষ পছন্দ নয়।  বাবা কিন্তু সবসময় এই সময়টা আমাকে দেয়।  নো ডাইপার।  ফুল ফ্রিডম আর সাথে এখন আবার এক নতুন খেলা চালু হয়েছে।  বাবা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাথরুমে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়।  আমি তো আমার ফেভারিট।  তাই আমার নিজেকে দেখতে খুব ভালো লাগে।  আর সবথেকে বড় কথা আমি এখনো বুঝিনা কি করে আমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।  আমি বেশ কিছুক্ষন আয়নার সামনে আমার সাথে খেলা করি।  তারপর বাবা তুলে নিয়ে যায় বাথরুমে। 

বাথটাবের কলটা বেশ মজাদার। যেই আমায় স্নান করাতো সে আগে এক বালতি জল আগে থেকে কল থেকে বার করে রেখে দিতো।  আমি বাথটবে এসে দঁড়ালে মগে করে ঢেলে দিতো।  ব্যাস এখানেই গল্প শেষ।  কিন্তু বাবার গল্প এখান থেকেই শুরু।  কোনো রকম পূর্বপরিকল্পনা নেই।  আমায় যখন বাথটবে নামিয়ে দেয় তখন কল ,বাথটব শুকনো।  এরপর বালতিটা চলে আসে কলের  নিচে। নিজেই আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কলটা ঘুরিয়ে প্রথমে গরম , তারপর ঠান্ডা জলে বালতিটা ভর্তি করে।  এই পুরো সপ্তাহে মাঝে মাঝেই আমাকে ছেড়ে দিতো কলের সামনে ।  আমি একবার কলটা ডান দিকে ঘুরিয়ে গরম জল , একবার বা দিকে ঘুরিয়ে ঠান্ডা জল করতে থাকি।  কিন্তু ব্যাপারটা আমার কাছে এখনো ঠিক ক্লিয়ার হয়নি যে জলের টেম্পারেচার ওরকম করে বাড়ে বা কমে কি ভাবে।  একদিন তো বেশ গরম জলে হাত দিয়ে দিয়েছিলাম।  ভাগ্যিস হাতটা ঠিক টাইমে সরিয়ে নিয়েছি।  নাহলে পুড়ে যেত। 

বাবা নিজে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসে।  কিন্তু মায়ের লাল লাল চোখের সামনে একবারে কেঁচো।  আমাকে এক সপ্তাহ একলা পেয়ে যা ইচ্ছা এক্সপেরিমেন্ট করে নিয়েছে।  তার মধ্যে এই স্নান করা একটা।  বাবা যেদিন প্রথম স্নান করায় , তার পরেরদিন থেকেই আমার প্রচন্ড শরীর খারাপ হয়।  মা ভেবেছিলো আমার ড্ৰাই ড্রাওনিং হয়েছে। যতই 'আমি না ' ' আমি না ' করুক , কোপটা আর আঙুলটা বাবার দিকেই পড়েছিল আর উঠেছিল।  এবার যখন মা একা ছেড়ে দিয়ে গেছিলো, তখন বাবা স্নানের বিষয়ে যে আমার থেকেও বড় ওয়াটার বেবি সেটা প্রুফ করে ছেড়েছে।  সেদিন তো পুরো বাথটব জলে ভরে পুকুর বানিয়ে দিয়েছিলো।  আমার তো হেব্বি মজা , বাড়ির ভেতরেই ছপাক ছপাক।  বেশ কিছুক্ষন ধরে স্নান করে পরের দিন সর্দি কাশি বাঁধিয়েছিলাম বটে।  কিন্তু বাবা জানতে দেয়নি মা কে যে ব্যাকগ্রাউন্ডটা  আসলে কি?

একটা নতুন ধরণের স্নান বাবা বার করেছে।  ঝপাক স্নান। বাবা প্রথমে মগ দিয়ে তারপর পুরো বালতি তুলে ঝপাক করে আমার ওপর ঢেলে দেয়।  ব্যাপারটা বেশ মজার। একসাথে অতটা জল আমার ওপর পরে আমার বেশ মজা লাগে আর আমি প্যাক প্যাকের মতো দুটো হাত ঝাপ্টাই।  মায়ের সামনে  একবার করতে গেছিলো , কিন্তু তখন ব্যাপারটা অভ্যেস হয়নি তাই হাপুচুপু  খেয়ে গেছিলাম।  এ সপ্তাহে পুরো প্রাকটিস করিয়ে দিয়েছে বাবা।  শুধু কি স্নান।  স্নানের পরে যে ড্রেস এস ইউ লাইক খেলি বাবার সাথে সেটা না বললে তো ষোলো কলা সম্পূর্ণ হয় না।  বাবা আমাকে স্নান করিয়ে কখনো লাল গামছা দিয়ে মঙ্ক সাজিয়ে দেয়।  কখনো মাথায় গামছা পেঁচিয়ে দিয়ে বলে ' আমার বিবেকানন্দ ' . কখনো শুধু ডাইপার পরিয়ে দিয়ে গলার কাছে গামছা পেঁচিয়ে সুপারম্যানের মতো উড়িয়ে দেয়।  আরো কত কি।  আর আমার সব কিছুতেই মজা। 

স্নান শেষ হলে সাজুগুজু করে মায়ের জন্যে বসে থাকি।  মা আসলেই ঝাঁপিয়ে পড়ি।  মা এই সপ্তাহে বেশ দেরি করে আসছে।  তাই কখনো কখনো মায়ের আসার আগেই প্রচন্ড ঘুম পেয়ে যায়।  আসলে মাথায় জল পড়লে , খিদে চাগাড়  দিয়ে ওঠে।  আর যদি দুধ পেটে পড়ে যায় তাহলে তো চোখ জুড়িয়ে আসে।  বাবা এখন আমাকে নিজে নিজে দুধের বোতল ধরে খাওয়ানো অভ্যেস করিয়ে দিয়েছে।  আমাকে শুধু ধরিয়ে দিলেই হয়।  বেশি কসরত করতে হয় না।  আমি নিজে নিজেই খাই।  হ্যা যদি দুধের জায়গায় ওই লস্যি দেয় তাহলে বাবাকেই ধরে থাকতে হয়।  নাহলে আমি আমার মতো করে খেয়ে নি , আর খেতে খেতেই ঘুমিয়ে পড়ি। 

বাবা অনেক চেষ্টা করেছে বটে , কিন্তু মায়ের জায়গা নিতে পারেনি।  বাবা ভেবেছিলো মা যেহেতু বাবার কাছে আমাকে একলা ছেড়ে গেছে , তাহলে হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করে নেবে।  কিন্তু মা ইস মা।  যেই মা আসে , বাবাকে সাইড করে দি।  একটু শুনতে সেলফিশ লাগছে বটে।  কিন্তু ডিমান্ড মেন্টেন রাখতে গেলে এরকম স্টারভেশন মেন্টেন করতে হয়।  মাও যদিও অনেক পুশ করেছে যে নিজের কাজগুলো যদি বাবার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে মা একটু আরাম পাবে।  কিন্তু না , সেটাও আমি করতে দিই নি।  মা বাড়ি ফিরলে , মা আমার।  আর কারো না।  রাতে আগে মা ঘুম পাড়াতো।  সপ্তাহের প্রথম দু দিন দেখি বাবা একটা দুধের বোতল নিয়ে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে পড়ছে।  মাও বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।  উদ্যেশ্য হচ্ছে আমি গিয়ে টুক টুক করে বাবার কাছে শুয়ে দুধ খেয়ে নেবো , আর ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়বো। 

আমি আসলে অন্ধকারকে খুব ভয় পাই।  তাই অন্ধকার করে দিলেই ঘরে থাকা যেকোনো হিউম্যানের কাছে সেঁধিয়ে যাই।  আমার এই উইকনেসকে বাবা মা চেয়েছিলো এক্সপ্লয়েট করতে।  কিন্তু আমি তো আমি।  তাই আমিও মায়ের একটা উইকনেস কে এক্সপ্লয়েট করে দিলাম।  ঠাকুরের কাছে একটা ছোট লাইট সারাদিন রাত চলতে থাকে।  মা ওটা কিছুতেই বন্ধ করতে দেয়না।  বলে নাকি অমঙ্গল হবে।  ঘর অন্ধকার করে দিলেও ওই লাইটটা ঘরটাকে আধো আলো আধো অন্ধকার করে রাখে। আমি চুপচাপ বাবার কাছে শুয়ে দুধ খেয়ে , ঝপাক করে উঠে সোজা ওই লাইটের কাছে।  তারপর তো ঠাকুরে সাথে আমার বাকি খেলা আছেই।  সেখানেই খেলতে থাকি যতক্ষণ না মা বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে। 

কালকে যখন সেই ফ্রাইডে এলো যখন পর পর মা দুদিন আমার সাথে থাকবে।  মানে আমরা সবাই একসাথে থাকবো , মানে আমরা বাড়িতেই সবাই একসাথে থাকবো, তখন বাবা এসে আমায় প্রণাম করলো।  ব্যাপারটা বিশেষ কিছু বুঝতে পারলাম না।  শুধু বুঝলাম বাবা শান্ত হয়ে গেছে।  এমনিতেই ম্যাদামারা নিরীহ মানুষ, তায়ে এতদিন "বাবা" ডেসিগনেশান নিয়ে ঘ্যাম নিচ্ছিলো।   ভেবেছিলো সব পারে।  মায়ের ওপর দু চারবার চোপাও দেখিয়েছিলো যে মা নাকি সব কিছু ঠিকঠাক প্রসেস মতো করতে পারে না , তাই আমাকে হ্যান্ডেল করতে মা ইরিটেট হয়ে যায়।  মা কে কিছু বলা আমি কোনোকালেই সহ্য করতে পারিনা।  তাই দেখিয়ে দিলাম আমি কি জিনিস।  সারা সপ্তাহের শেষে এট লিস্ট বাবা বুঝে গেছে যে হু ইস দা বস। 

যাইহোক , ঘটনার ঘনঘটা থেকে কিছু কিছু তুলে বাবার সাথে থাকার একা থাকার গল্প বললাম।  কিন্তু আর যাই হোক , বাবা কিন্তু লড়ে গেছে। সেই লড়াইকেই স্যালুট জানিয়ে আপাতত শেষ করলাম।   

আধ্যানের ডায়েরি


No comments:

Post a Comment