আজ সকালে কাজের মেয়েটা ননস্টিক তাওয়াটিকে ঘষা পাথরে ঘষে ঘষে
ওর কালো রংটাই তুলে দিয়েছে। বাড়িটা এখন
অগ্নিতপ্ত। অনু বাড়িটা মোটামুটি মাথায়
তুলে নিয়েছে। কাজের মেয়েটার দিকে মাঝে
মাঝেই খ্যাঁক খ্যাঁক করে তেড়ে আসছে , 'হারামজাদী , নন স্টিক মানে বোঝো না।
সাড়ে তিনশো টাকা ঘষে তুলে দিলি ? দাঁড়া আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। ' কিন্তু তারও
একদিন হলো না , অনুরও একদিন হলো না। কিন্তু
শাম্ব বুঝলো তার দু দিন বারোটা
বাজলো। আপাত দৃষ্টিতে দেখতে গেলে শাম্বর
কোনো অসুবিসা হওয়ার কথা নয়। সে খাওয়ার
টাইমে ঠিক খাবার পেয়ে যাবে, আর এই ঝগড়ার
মাঝে তাকে নাক - মুখ - জিভ -চোখ বিশেষ কিছুই গলাতে হবে না। কিন্তু হ্যাঁ আজকে সারাদিন তাকে চুপ থাকতে
হবে। আজ ব্যা করলেই কাল গর্দান। যদিও এমনিতেই যাবে। এই ননস্টিক যতদিন না রিপ্লেস হচ্ছে ততদিন এই
গরম নিঃস্বাস সারা বাড়িতে স্টিক করে থাকবে।
শাম্ব জানে কাল সকালেই প্রথমে সোহাগ করে পরে ঝাঁঝিয়ে তার ডিমান্ড প্লেস
করবে কোনো এক সুস্বাদু খাবারের সাথে। আর
শাম্ব কালকের ঝগড়ার কথা চিন্তা করে সায় দেবে।
অথচ এ মাসে তার কেনার ক্ষমতা নেই।
অনেক ধার দেনা শোধের পর এমাসে কিছু
নিজের সাধের জিনিসের ইচ্ছায় কিছু পয়সা সে যোগ বিয়োগ করে রেখেছিলো, মনে হয় সেটাও বিলিয়ে দিতে হবে।
সে যাই হোক , মিত্রশক্তির তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যে আহত সৈনিককে কোনো রকমে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বার করে নিয়ে এলো শাম্ব।
মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল , 'কিরে
ওরকম করলি কেন ? ' মুখটা কাঁচুমাঁচু করে
জবাব দিলো , 'আমাগো গেরামে তো কালো
এঁঠো বাসুন ছাই দিয়ে এইঠোন মেঝে মেঝে
কালো রং তুলে ফ্যালি। হিথায় তো স্যাইটাই
করেছিলাম। হ একদম পরিষ্কার করতে পারিনি। কিন্তু
এতো বকার কি আছে ? কাল নাহয় আবার ঘষে দেব।
আমি তো বুঝতিই পারছি না কি এমন করেছি। ' আরে শাম্বও কি ছাই বুঝতি পেরেছি নাকি। অনুর প্রচুর বাসন , যদিও অধিকাংশই স্টিলের।
নন স্টিক বেশ দামি। তাও নয় নয় করে
চার পাঁচটা ছোটোবড় মিশিয়ে তাওয়া কড়াই তো আছেই।
সে বিশেষ ব্যবহারও করে না। আর
করলেও কাজের লোকের হাতে দেয় না। নিজেই পরিষ্কার করে। কাজের লোকের পেছনে সে ভোমরার মতো ঘুর ঘুর করে
যতক্ষণ না স্টিলের বাসনগুলো আয়নায়
রূপান্তরিত হয়ে যায়। তার মতে নতুনের মতো
দেখতে না লাগলে আসলে তাতে কিছু পুরানো খাবারের অবশেষ লেগে আছে। সেই উদ্যেশ্যে তার এই প্রাত্যহিক সংগ্রাম। উদ্যেশ্য ও যুক্তি বেশ ভাল , কিন্ত যে সৈন্যরা কাটা পরে কেটে পরে আর তাদের জায়গায় নতুন
রিক্রুট করতে শাম্বর যায় মাথা খারাপ হয়ে।
কেউ এক বছরও টেকে না। কিন্ত বিয়ে
করা বৌ। ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শুধু শাম্ব কে এই বাসনের বোঝা আর বাসন
কেন্দ্রিক জীবনটা বয়ে চলতে হয়।
শহুরে কাজের লোকেদের ডিমান্ড ও মাইনে অনেক বেশি। বেশ কয়েকটা কাজের লোক পর পর ছেড়ে দেওয়ার পর , কাজের লোকের মহলে অনুর নাম বদনাম হয়ে গেছে। তাই যখন বেশ কয়েকদিন নতুন কাজের লোকের সন্ধান
পাওয়া গেল না তখন শাম্বর পিতৃপুরুষের গ্রামের থেকেও দশ মাইল ভেতর থেকে এই মেয়েটাকে
পাঠিয়েছে গ্রামের এক কাকিমা। কাকিমার
বাতিক অনুর বাতিকের পরিণত ও অভিজ্ঞ রূপ।
তাই দুজনের মধ্যে মেলেও ভালো। ফোনে
দীর্ঘ আলোচনার শেষে দুজনেই যখন একমত যে গ্রামের মেয়েরা ভালো বাসন মাজতে পারে , তখন কাকিমাই নিজে থেকে জোগাড় করে এই মেয়েটিকে আমাদের বাড়িতে
হোলটাইমার হিসেবে পাঠিয়ে দেয়। বয়স কম , থাকা খাওয়া বাদ দিয়ে নামমাত্র মাইনে দিয়ে
শাম্ব একটা শান্তি খুঁজে পেয়েছে।
তার কাজ কাজের লোক সাপ্লাই দেওয়া , আর সে তার কাজ যথাযথ ভাবে পালন করেছে।
মেয়েটি কিন্তু
বেশ। গ্রাম্য সৌন্দর্য্যে যৌবনের
লাস্য। অমাবস্যার রং নিলেও , লাবণ্য উচ্চ।
শাম্বর কাছে তার দৈহিক বিবরণের থেকে তার সাধাসিধা , মিষ্ট কর্তব্যপরায়ণতা অনেক বেশি আনন্দবর্ধক। প্রতিটি কাজের লোকের ক্যাটক্যাটে কথা আর অশালীন
শব্দ ব্যবহারে সে এমনিতেই বিরক্ত হয়ে পড়েছিল কাজের লোকদের সম্বন্ধে। কিন্তু এই দু মাসে , এই মেয়েটির থেকে কোনো বাজে ভাষার প্রয়োগ সে হতে দেখেনি। যেহেতু বার্তালাপে
তথাগত পরিচ্ছন্নতার অভাব , তাই সে
স্বল্পভাষী। আর সবথেকে বড় কথা , সে বাসন মাজতে সত্যিই পটু।
অনু তাই খুব খুশি।
ছোটোখাটো ভুল সে
করেই। কিন্তু অনু মাফ করে
দেয়। গ্রামের খালি গায়ে শহরের সোয়েটার
যেমন কুটকুট করে। অনেক আদবকায়দাতে মেয়েটি ঘুলিয়ে ফেলে তার স্থান - কাল -
পাত্র। গ্রামের জটিলতা শহরে এসে সরল হয়ে
যায় ,
কিন্তু গ্রামের সরলতা অতিরিক্ত জটিলতা সৃষ্টি করে শহুরে
আদবকায়দায়। তাই মাঝে মাঝেই অপদস্ত হতে হয়
অনুকে। ঠিক অপদস্ত নয় , কিছু ভ্রুকুঞ্চন আর মিচকি হাসি সে মাঝে মাঝেই তার অথিতিদের
কাছ থেকে পেয়ে থাকে। মেয়েটির মিষ্টতার
জন্য,
অনু এগুলো অবজ্ঞা করে।
সে সব কিছু শিখিয়ে দেয়। এই গত
দুমাসে মেয়েটি অনেক কিছু শিখেছেও। কিন্তু
আজ সে যা ভুল করেছে তা একেবারে গিয়ে বিঁধেছে অনুর হৃদয়ের অন্তস্থলে সাজিয়ে রাখা
বাসনপ্রেমের সিংহাসনে। সব উলঢুল , তোলপাড়।
কাল সারাটা দিন তীব্র ঝড়ঝাপটা সহ্য করে নিজের বাঙ্কারে গিয়ে
শুতেই চোখ ট্যারা হয়ে গেলো শাম্বর। কালকের
প্রতীক্ষায় তীব্র ঘুমে ডুবে সে যখন সকালে উঠলো তখন যুদ্ধক্ষেত্র আপাতদর্শনে
শান্ত। মিত্রশক্তির বোমারু বিমান এখন মনে
হয় তেল ভরছে। ছ্যাঁক ছ্যাঁক শব্দে বুঝল
রান্নাও চলছে। মেয়েটা অনুর পায়ে পায়ে ঘুরে
,
হাতে হাতে হাতে এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছে। ছবিটা অস্বাভাবিক লাগলো শাম্বর। পরিবেশ শান্ত ভালো লাগে , কিন্তু তরঙ্গ থাকা উচিত।
যদিও এক মেকি ব্যস্ততা দুজনার চোখেই সে দেখতে পায়। শাম্বকে আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে আসল
ব্যাপারটা জানতে।
ব্যাপারটা যে কি সেটা বোঝা গেলো খাওয়ার টেবিলে। ভাত, মুসুর ডাল, ডিমের ডালনা , আলুর দম , আলু পটল ভাজা
আর রায়তা,
এই হলো আজকের মেনু।
ননভেজ না থাকলেও , সে কি ভয়ঙ্কর
খাওয়া। বেশ যত্ন এবং বেশ পরিপাটি করে খেতে
দেওয়ার পর , সারাক্ষন পাশে বসে এটা
খাও , সেটা খাওয়া
করে গেলো। আরে খাবো কি ! আমি তো তখন খাবি খাচ্ছি। কিছুক্ষন পর মেঘ ভেঙে বজ্রপাত হলো - "
একটা ননস্টিক তাওয়া কিনে দেবে ? "
আমি জানতাম এরকমই কিছু একটা আসছে। তাই মুখে হালকা গাম্ভীর্য টেনে এনে বললাম , "আজকেই লাগবে?" 'হ্যা আজকেই। আজকেই
টাকা তুলে বিবাহ বার্ষিকীর অগ্রিম উপহার দিয়েই দাওনা। ' আহা সস্তার
ওপর দিয়ে এবার গেছে। মনে খুশি হলেও , ঈষৎ চেপে বললাম , ‘আচ্ছা দেখছি।'
‘না দেখছি না। আমার আজকেই চাই। ' আচ্ছা ঠিক আছে। '
বিবাহ বার্ষিকী
এখনোও অনেক দিন। এমাসে ভেবেছিলাম
ক্যাসেটের সেটটা কিনবো। অনেক দিনের শখ। হয়ে উঠছিলো না। কিন্তু ম্যান প্রোপোজেস গড ডিসপসেস। সারাদিন
অফিসের কাজে মন বসলো না। যা করতে চাইলাম
সেটা ঠিকঠাক করা হলো না। দু চারটে যোগ
বিয়োগে ভুল করার পর পাশের টেবিলের নিতাইদা একটা জেলুসিল এনে দিলো। নিতাইদাকে আর কি বলি , গ্যাস নয় , ননস্টিক আমার
সমস্যা। প্রচন্ড অনিচ্ছা সত্বেও টাকাটা
তুলে ঝড় ওঠা বুকে বৃষ্টির দমচাপা শান্তনা দিয়ে যখন এস্প্লানেডের দোকানটাতে ঢুকলাম
তখন আবিষ্কার করলাম দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।
বাস স্ট্যান্ডটা বাড়ি থেকে মিনিট পাঁচেকের দূরত্বে। এই পাঁচ মিনিট আমার কাছে পাঁচ বছরের সমান
ছিল। পঞ্চভূতের ভবিষ্যৎ কল্পনা করা ছাড়াও
এই পাঁচ মিনিটে সবথেকে যার কথা ভেবেছে শাম্ব , সেটা ওই মেয়েটির কথা।
সে নিজের মনে বলতে বলতে এসেছে, আমরা শহুরে লোকেরা মনে করি আমরা সব পন্ডিত। আমরা যা জানি সেটাকেই আমরা মনে করি সভ্য। আর যা জানিনা তাকে অসভ্য বলে ছেড়ে দিই। গ্রাম্য জীবনকে গেঁয়ো বলে আর গ্রামের লোকেদের
গেঁয়ো ভূত বলে কি অপদস্তই না করি। শিক্ষার
প্রথম শিক্ষা বিনয়। অথচ অশিক্ষিতদের মানুষ
বলেই মনে করিনা। আমরাও কি সব জানি ? জানার কি কোনো শেষ আছে।
কাল কিছু একটা না জেনে ভুল করে বসলে কি আমাকেও শুনতে হয়না। হয় বটে।
তবে কেন তাহলে সেই আমিই নিজের কষ্ট অন্যের মধ্যে দেখতে চাই। অশিক্ষিত মানুষ
কি তার জীবন চালাতে পারে না। জীবন মানে কি
,
জীবন কাটানো তাই তো।
এসেছি , থাকবো এবং চলেও যেতে
হবে। যে যেরকম করে পারে এই সময়টা ভোগ
করে। ওই মেয়েটা কি কিছুই জানেনা যা অনুর
মুখে ছুঁড়ে মেরে তাকে চুপ করিয়ে দিতে পারে।
ভেতরে একটা অদ্ভুত রাগ , দুঃখ , দ্বিধা নিয়ে
শাম্ব ঘরের কলিংবেল বাজালো। হাসি হাসি মুখ
নিয়ে মেয়েটি দরজা খুলে দিয়ে পেছন ঘুরে বললো , 'বৌদি , দাদা এয়েচে।' অনুর আওয়াজ সম্ভবতঃ বাথরুম থেকে ভেসে এলো , 'ফ্রিজে শরবত করা আছে।
দিয়ে দে। ' ঘরে ঢুকে অফিসের জামাকাপড় ছেড়ে বেসিনে হাত ধুয়ে ঠান্ডা
হাওয়ায় বসতেই শরবতের গ্লাস হাতে চলে এলো।
মনের তিক্ততা জিভে এসে লাগছে।
শরবতও তেতো মনে হলো। এখুনি অনু
বেরিয়ে আসবে বাথরুম থেকে , আর
তারপরেই শুরু হবে শাম্ব আর ওই মেয়েটির
পিন্ডি চটকানো। ভাবতেই মেজাজ আরো খিঁচড়ে
গেলো। বাড়িতে থাকতে ইচ্ছা করলো না। অনেক ভেবে মনে পড়লো বিমল, তার ইনকাম ট্যাক্স উকিলের কাছে তার রিটার্ন এর ডকুমেন্ট এসে
হাজির হয়েছে। এখনো নিয়ে আসা হয়নি।
'বৌদিকে বলিস আমি বিমলের বাড়ি থেকে এখুনি আসছি। ' বলে বেরোতে যেতে হঠাৎ শাম্বর চোখ গিয়ে পড়লো টেবিলের ওপর
রাখা একটা সুন্দর চাদরের ওপর। সাদা
চাদরটার ওপর নানা রকম কাঁথাস্টিচ করে আছে।
কাজ চলছে বোঝাই যাচ্ছিলো , কারণ তখনও
ছুঁচটা ঝুলছে। অনুকে কোনোদিন সে সেলাই
ফোঁড়াই করতে দেখেনি। তবে কি মেয়েটি করছে? শাম্বর
বিষাদের আগুনে আরও ঘি পড়লো। কি সুন্দর
শিল্প ,
কৈ তার জন্যে অনুকে কখনো মেয়েটির প্রশংসা করতে দেখেনি
সে। ওই স্টিচ তো আর এক দিনের নয়। দিনের পর দিন ঘাড় গুঁজে একটা একটা লাইন সুঁচ
দিয়ে আঁকতে হয়। এখনো তো গোটা গ্রামবাংলায়
এই নকশি কাঁথা বা কাঁথা স্টিচ পৃথিবী কাঁপাচ্ছে।
কৈ এর জন্যে তো প্রোবাবিলিটি স্ট্যাটিস্টিক্স জানতে হয় না। যে স্কিল বা নিপুণতা এর জন্যে লাগে তার জন্যে
তো খাতা কলমে মুখস্থের দরকার হয় না। অনুতো
কিছুই পারেনা , মেয়েটিকে শুধু খেতে পড়তে
দেয় বলে চিৎকার করার অধিকার নিয়ে বসে আছে।
মুখ ঘুরিয়ে বেরিয়ে চলে এলো শাম্ব। বিমলের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষন কাটিয়ে , হাবিজাবি গল্প করে কিছুটা মাথা ঠান্ডা হলো শাম্বর। মাথাটা বেশ ফাঁকা হয়েছিল কিনা বিমলের কাজের
লোকটা চা আনতে গিয়ে পা আটকে পরে গেলো। বোন
চায়নার কাপ ভেঙে দশখান। আর বিমলের স্ত্রী
রুদ্রমূর্তি। অনুর প্রতিফলন দেখে বিরক্তি
মুখে নিয়ে বেরিয়ে এলো শাম্ব। সে ভাবছে
আবার ফিরতে হবে, দিনটাই খারাপ। সকালে ঐরকম
ঝামেলা ,
বিকালে পাঁচশো টাকা তস্করকে দান আর এবার বাড়ি ফিরে কি হবে
তা দেবা না জানন্তি।
কষা মুখ আর মন নিয়ে দরজায় টোকা মারতে গিয়ে দেখে দরজা খোলাই
আছে। আসতে করে দরজা খুলে ঘরে ঢুকতে
মেয়েটির আওয়াজ কানে এলো বারান্দার ঘর থেকে , 'তুমি কবে শিখবা বৌদি।
এরকম ভুল করলে আমি পারবো নি শিখাতে।
তোমার মন সব সময় অন্যদিকে। ই কাজে
মন মাথা ঢেইলে দিতে হয়। উদিকে নয় , উদিকে নয় , এই ভাবে
প্যাঁচ লাগাও। ' অবাক হয়ে শাম্ব উঁকি
মারলো ঘরে। অনু মেয়েটির সাথে নিচে বসে ওই
চাদরটাতে সেলাই করছে , আর মেয়েটি কলকল
করে ডাইরেকশন দিয়ে চলেছে। অনু মাঝে মাঝে
বলছে ,
' দেখনা , ঠিক পারবো , তুই একটু শেখালেই পেরে যাবো। ' শাম্বর মনে
এক অবাক বিস্ময় ও প্রশান্তি এক সাথে এসে ছেয়ে রইলো। নারীমন বোঝার বাইরে। শিক্ষিকা এখন ছাত্রী। পোশাক তাই ভিন্ন। শাম্ব প্রচন্ড ক্লান্তি অনুভব করলো সারা
শরীরে। সোজা গিয়ে বেডরুমে ঢুকে সটান শুয়ে
দুজনের বার্তালাপ শুনতে লাগলো।
No comments:
Post a Comment