মহিলার চাটাটা দেখলেন ? উফফ কি দিলো মাইরি। স্কিলটা বেশ ভালো। কাজে লাগবে। সমস্যা খুব। দু পক্ষেরই। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে। কিন্ত এখন কেসটা একবারে পচা কেস। না প্যাঁদালে কাঁসর ঘন্টা নিয়ে করোনা ফেস্টিভ্যাল করবে আর প্যাঁদালে বলবে অমানুষিক।
আজ যখন লিখতে বসেছি তখন আমেরিকা পৃথিবীর রেকর্ড ভেঙে কুড়ি হাজার নতুন করোনা কেস রেজিস্টার করেছে। ইতালিতে আজকেও সাড়ে আটশোর ওপর লোক মারা গেছে। আর পৃথিবীর বৃহত্তম ডেমোক্রেসির ঘুম ভাঙছে চতুর্থ লকডাউনের দিনে।
প্রচন্ড মুষড়ে পড়েছিলাম যখন দেখি হাততালির বদলে কেউ সিলিন্ডার বাজাচ্ছে , ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট হচ্ছে টপ ১০ জনতা কারফিউ নয়েস। আমার মা নিউমোনিয়ার রুগী। এই শুয়োরের বাচ্চাদের জন্য এমনি এমনি মারা যাবে। ঠিক যেমন কুড়ি হাজার লোক মারা গেলো কিচ্ছু না বুঝে।
কিন্তু যখন দেখলাম পুলিশ পেটাচ্ছে , তখন আরো বেশি খারাপ লাগলো। না না ওসব ব্যাথা মানসিকতা নয়। দুঃখ লাগলো এই ভেবে যে এরা ভোট দেয়। গরু ছাগলও নিজের ভালো বোঝে। তারাও মৃত্যুভয়ে পালতে জানে। আর এই মানুষগুলোকে না পেটালে বোঝানো যায় না যে এরা একই সাথে মরছে ও মারছে। দুদিন বাদে আবার ড্যাং ড্যাং করে ভোট দিয়ে অবতার নিয়ে আসবে।
মুম্বাইয়ের দাদর স্টেশনে একবার দেখেছিলাম এক খাটো ধুতি পরিহিত রাজস্থানি চাষী প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনলাইনে ঝুঁকে গ্রাম্য অভ্যাসবশতঃ দেখছে , ট্রেন আসছে কি না। মুম্বাইয়ের তিন লোকাল ট্রেন লাইনের ব্যস্ততম জাংশানে যেখানে ২ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন আসে তখন ওই ভাবে মুখ বাড়ানোর একটাই পরিনাম - মৃত্যু। আর লোকটির মৃত্যুর সাথে মৃত্যু হবে “সময়ের” . যে শহরে প্রতিটা মিনিট বাঁধা থাকে টাকার সাথে , সেখানে সময় নষ্ট হওয়া মানে মৃত্যু ডেকে আনার মতো। সেদিন এক রেলওয়ে পুলিশ সোজা গিয়ে একটা লাঠি চালিয়েছিল পায়ের গোছে। খুব খারাপ লেগেছিলো মানুষটির জন্য। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি মানুষ শুধু লাঠি বোঝে।
তাহলে কি বলবো পুলিশ এখন যা করছে , “বেশ করেছে” ? না , কারণ প্রচুর অসহায় মানুষ মার্ খাচ্ছে। কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া যায় না। কারণ এদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের জন্য মানুষ খেতে পাচ্ছে। কিন্তু কাকে কি বলি ? পুলিশরাও মানুষ। তাদের যদি কেউ চেটে দেয় তাহলে তারাও লাঠি চালাতে বাধ্য।
এই বাড়িতে গ্রসারি লোড করা ভদ্রলোকদের শখের চা খেতে গিয়ে প্যাদানি খেয়ে পুলিশের মানবিকতাহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ন্যাকামোতে সারা দিতে পারলাম না। খাক তারা মার। আরো মার , আরো মার। যদি সহানুভূতি দেখাতেই হয় তো তাদের দেখাবো যারা বাড়ি ফেরার জন্য মাইলের পর মেইল হেঁটে চলেছে। কোলে বাচ্চা নিয়ে , পেটে খিদে নিয়ে , ভবিষ্যতের আশংকা নিয়ে , আর পদে পদে পুলিশের মার্ খেয়ে। তাদের ছেড়ে দিন প্লিস। সহানুভূতি সেই বৃদ্ধ বৃদ্ধার জন্য , যাদের জোয়ান ছেলেমেয়ে মেয়ে কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। সহানুভূতি তাদের জন্য যারা শিশুর খাবার যোগানের জন্য মার্ খেয়ে বাজার করে নিয়ে আসছে। সহানুভূতি তাদের জন্য যারা ডেলিভারি বয়ের কাজ করতে গিয়ে মার খাচ্ছে। তাদের জন্য না , যারা প্রেসক্রিপশন নিয়ে মদ কিনতে বেরোচ্ছে , ফাঁকা রাস্তা দেখে বাইকের রেস লাগাচ্ছে , খোলা ছাদ দেখে পিকনিক করছে।
এইমুহূর্তে দু চারটে কালশিটের থেকে অনেক বেশি সমস্যায় আছে পৃথিবী। আর হ্যাঁ যদি পুলিশের ভালো কাজের জন্য চাটতে হয় তাহলে একটু অপেক্ষা করুন। ……
No comments:
Post a Comment