দিচ্ছে তো
নেবো না কেন ? আমি কি চেয়েছি। অবশ্যই , চাইনি
তা তো নয়। ফ্রি জিনিস
কে না চায়। নো স্ট্রিং
এটাচড। যদি সংসার চেয়ে বসে। ধুর , চাইবে না। সবার পোঁদেই গু। কিন্তু মেয়েদের বিশ্বাস করে লাভ কি
? কিন্তু গিন্নির বিশ্বাস ভেঙেই বা লাভ টা কি ? বিশ্বাস ভেঙেছি সেটা না জানলেই হলো।
জানাবে কে ? আমি। না না আমি কেন নিজের পেছনে বাঁশ নেবো।
কে জানে , মাঝে মাঝে তো ভালোই লাগে।
কোনটা ? এই ছোঁকছোঁকানি। না না বৌ কে। ভালো লাগে বলেই তো সঙ্গে আছি। আর ছাড়তে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু একটা ভুলে সব কিছু ওলোট পালট
হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ওলোট
পালট হতে গেলে তো ধরা পড়তে হবে। ধরা পড়লে পুরো
কেস। কিন্তু ধরা পড়লে তো দুজনেই ধরা পড়বো।
আর আমি তো পুরুষ , চামড়ায় কিছুই টেকে
না। কিন্তু যদি ও ধরা পরে গিয়ে কেসটা ভয়ঙ্কর
লেভেলে চলে যায়। আর আমার ঘাড়ে
চেপে বসে। নাহ। এসবে লাভ নেই। তার থেকে ইন্টারনেটই ভালো। কয়েক সেকেন্ডের তো ব্যাপার। তারপরেই
তো আবার মন ঘুরে যায় সংসারে। ঐটুকু সময়
আটকে দিলেই তো রাম লেভেলের কিছু একটা হয়ে থাকবো। কিন্তু কৃষ্ণ
তো টিকে আছে যুগের পর যুগ। এসব ফালতু
ব্যাপার। মনের ডিমান্ড
আলাদা। মন না মেলালেই হলো। কিন্ত শরীর।
আহা , থরে থরে সাজানো খাবার। খাও প্রাণ
ভরে , আর বার করে দাও পরের দিন ভোরে। কিন্তু যদি
সেই ভোর হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। চরিত্র নিয়ে
টানাটানি। চরিত্র আবার
কি ? লোকের টাকা মেরে দেওয়াও তো চরিত্র হীনতা। ফেক মেডিকেল
বিল তো সাবমিট করেই চলেছি। সে আর এ কি
এক নাকি। বিশ্বাস ,
বিশ্বাস , বিশ্বাস। ভেঙে গেলে
জোড়া যায় মন্দির মসজিদ, ভাঙা প্রাণ ভাঙা মন যায়না। কি হবে জুড়ে।
যদি কারো সাথে শরীর মেলালে কারো মন
ভাঙে , তাহলে সে মনে বাস করাটাই অসুবিধা। আমার মন অনেক
বড় , অনেক মেয়ে ধরে। আর আমি তো
আর যেচে কিছু করতে যাচ্ছি না। আঃ , কে আগে
এগিয়েছে সেটা কি বড় প্রশ্ন। না নিশ্চয়
না। তেল আর আগুনের মধ্যে তো সম্পর্ক আছে
রে বাবা। শুধু তো এগিয়েছিলাম
, আমি , আমি হয়ে। আমার কি কোনো
উদ্যেশ্য ছিল না কি কিছু করার। পটে গেলো তো আমি কি করবো। এরকম তো অনেকেই পটতে পারে। তাহলে কি সবার সাথে। না না সেটা আবার হয় নাকি। আমার চয়েস বলে একটা ব্যাপার আছে তো।
কিসের চয়েস? শরীর তো সবার সমান। সে আবার হয় না কি ? চিকেন তো চিকেন
কিন্তু রেসিপি গুলো আলাদা। কিচ্ছু হবে
না , এগিয়ে যাও। মন না জুড়লেই
হলো। কিন্তু মন যদি আবার খাই খাই করে? মন যদি নতুন স্বাদটাকে বার বার খেয়ে
পুরানো করতে চায়। মন যদি বলে
পুরাতন যাক ভেসে যাক। মন চাইতেই
পারে। কিন্তু মনকে সব সময় পাত্তা দিলে চলে?
এগজ্যাক্টলি। তাহলে মনকে এবার বশে আনো
, শরীরের দিকে তাকাতে বারণ করো। কিন্তু শরীর
যদি হেলে পরা ইংরেজি আটের মতো হয় তবে? তখন তো আর বশ মানছে না। কিন্তু সে তো বৌ এরও ছিল। সময়ে সবই আলগা হবে। কিন্তু টিকে থাকবে ব্রেকফাস্টে লুচি , রবিবারের
মাংস , বিকালের চা , সিঁদুরখেলায় লাল শাড়ি , পপকর্ন সাথে রাতের প্রাইম টাইম শো , সমাজের
কাছে লাথি খেয়ে “ওঁয়া” বলে বুকে মুখ লুকানো , লক্ষীর ভান্ডার। ….. নাঃ , হলো
না , এবারেও হাত তুলে দি বরং। শালা বিয়ের
আগে মেয়ে জুটতো না। বিয়ের পরে
লাইন লেগে গেছে। সেফ এন্ড সিকিওর
কিনা। আর পুরুষ তো বয়স বাড়লে ক্যালানে থেকে
ওহ মাই গড, হতে থাকে। সময়ে কেন এই
ঢল নামেনি। সময় কি গেছে
নাকি। সময় কাকে বলে। যেটা আসে , যায় , আবার আসে , আবার যায়।
কিন্তু সুযোগ কি সব সময় আসে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করাটাই তো জীবনের
একমাত্র শিক্ষা। আজ যখন খাবার
মুখের কাছে এসে , “প্লিস খাও ” বলে লাফাচ্ছে, তখন বাইরের লক্ষী বাইরের ঘরে রেখে তো
দেওয়াই যায়। ঘরে না ঢুকলেই
হলো। আর ফেলে না দিলেই হলো। দুর্ভিক্ষ তো এসেই মানুষের জীবনে। তখন না হয় এই স্বাদের ঢেকুর তুলবো।
নাহ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা
পরের তরে। শেখানো তো
কম হয়নি। তাহলে এই আহ্বান
প্রত্যাখ্যান করলে মানুষের অপমান তো হয়। মনটা ভেঙে
যাবে তার। হয়তো অপমান
বোধ করবে। সে সমাজের
বিরুদ্ধে গিয়ে তো গোপনে এগিয়েছিল আমার গোপন জীবন আলো করতে। সে তো জানে , সে তো জানে
আমি বিবাহিত। সে তো এই পবিত্র
বন্ধন ভাঙতে চায়নি। তাহলে শুধু
ভয়ে পিছিয়ে যাবো। ধরিয়ে দেওয়ার
ভয়ে তো সে ধরা পড়তে চায়নি। তাহলে কেন,
আমি পিছিয়ে যাবো। উফ কি দোটানা।
দু নৌকায় পা দিয়ে চলা যে কি ভয়ঙ্কর
ব্যাপার সেটা সবাই জানে। কিন্তু এটা
তো কিত্ কিত্ খেলা। আচ্ছা অন্য ভাবে ভেবে দেখলে হয় না। যদি আমার গিন্নি সমমত পোষণ করতো। প্রকৃতি নিজেই ছেলেদের পলিগ্যামি অপ্প্রভ
করেছে। তার এতো পুরুষের দরকার নেই। কিন্তু মেয়েরাও তো সমান মত পোষণ করে
মস্তিষ্কে। তাদেরও তো ইচ্ছা করে অন্য পুরুষের সঙ্গে পাওয়ার। তারা তো ছেলেদের মতোই ঝাড়ি মারে। যদি সে গিয়ে হাজির হয় একটা গোপন ঘরে।
বা আমাদের বেডরুমেই আরেকটা আমার মতোই
পুরুষ এসে ঢোকে। পেছনে দরজা
বন্ধ হয়ে যায়। দুটো নগ্ন শরীর একে অপরকে পিষ্ট করে ঘরে ছড়িয়ে দেয় পরিমল। এই খাট , এই বিছানা , এই আয়নার সামনে
, ওই সোফাতে , ওই লাভসীটে , লেগে থাকে আনন্দের ঘাম। আর শেষ হলে নো স্ট্রিং এটাচ্ড বলে বেরিয়ে
আসে ছেলেটা। আর তারপর সেই
বেশ্যা ফিরে আসে আমার বিছানায় একই রাতে। বেশ্যা , শব্দটা
বেরিয়ে এলো। কি ঘেন্না
লাগছে। নিজের মনে। আমি তাহলে কাল রাতে হয়ে যাবো জিগোলো।
বারভাতারি। যদি আমি জানতে না পারি সে তার শরীর দিয়েছে অন্য পুরুষের কাছে।
যদি এখনো না জেনে থাকি। ছিঃ , সন্দেহ করছি। ওর সন্দেহবাতিকতায় এতদিন ঘেন্না করেছিলাম।
আজ শুধু তাকে এনে দাঁড় করালাম , আমার জায়গায় আর আমি হয়ে গেলাম সন্দেহবাতিক। সে তো সারাজীবন দেখেছে পুরুষের বহুগামিতা।
রোজ সে কত ভয়ে ঘেন্নায় এই সন্দেহ করে
এসেছে। সে তো জানে , এ হতেই পারে। যে কোনো দিন সব শেষ হয়ে যেতে পারে শুধু
কয়েক সেকেন্ডের ভুলের জন্য। সে তো জানে,
সমাজ যতই এগিয়ে যাক না কেন , পরিত্যক্তা এক তক্তার মতো, যার মূল্য ওজন দরে। সে তো ভয় পাবেই। নাঃ , শরীর মনেরই অংশ , আর মন শরীরের।
পারলাম না , না ই বলে দিলাম। তার পুরুষটাও তো জানতে পারতো না। সে ও তো ভয়ে ভয়েই আছে আমার মতো। হয়তো আমার আগেই সে বুঝে গেছে, তাই চুপ
করে অপেক্ষা করছে এই সত্য উন্মোচনের। আমিও অপেক্ষা
করি , ভুল আমি আগে করলে আমি দোষী। আর ভুল সে
করলে কয়েকদিনের মধ্যেই একটু আগের আমি আবার খুলে ধরবো মন-শরীর। ততক্ষন ইন্টারনেট জিন্দাবাদ।
No comments:
Post a Comment