ভোর তখন পাঁচটা কিছু একটা বিচ্ছিরি স্বপ্ন
দেখে ঘুম ভেঙে গেলো। দেখলাম সারা গা ঘামে ভিজে জবজব করছে। ঘাড়ের কাছটা ব্যাথা। এক কাতে শুয়েছিলাম
বলেই হয়তো। দেখলাম বালিশের এক
জায়গায় গোল করে ভেজা। মানে বেশ কিছুটা নালও ফেলেছি। এতো ঘামার কারণ খুঁজতে গিয়ে বুঝলাম রাতে যে
ডাউনলোড লাগিয়ে শুয়েছিলাম সেটা মাঝখানে
বন্ধ হয়ে গেছে। এর দুটো কারণ হতে
পারে , হয় মাঝখানে কারেন্ট চলে
গেছিলো। নয় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে। উঁকি মেরে রাউটারের দিকে তাকাতে দেখি তিনটে সবুজের একটা লাল। মানে ইন্টারনেট নেই। অনেক সময় এমন হয় যে কারেন্ট চলে গেলে
রাউটার রিকানেক্ট করতে পারেনা। উঠে রিস্টার্ট করতেও দেখি সেই কেস। কম্পিউটারে চেক করতে গিয়ে চোখ পড়লো তারিখের
দিকে। চব্বিশে এপ্রিল। প্রত্যেক মাসের ২৩ তারিখে আমার ইন্টারনেট
প্যাকেজ রিনিউ করতে হয়। এমনি খাজা
ইন্টারনেট কোম্পানি , না মনে করিয়ে
দিলে রিচার্জ করে না। কাল ভুলে গেছিলাম।
আজ ইন্টারনেট বন্ধ।
সকাল তখন সাড়ে
ছটা। মুম্বাই আটটার আগে জাগে না। আর থানে মুম্বাইএর আরো পরে জাগে। আর আমার ইন্টারনেটের লোকেরা জাগেই না। ঘুমিয়েই থাকে।
ফোন করে লাভ নেই। তাই হোয়াটস্যাপ
করে রেখে দিলাম। এদিকে পেটে চাপ পড়ছে।
দৌড়ে গিয়ে হাল্কা হয়ে কলটা চালাতে দেখি নল থেকে একটা টুপুস করে ফোঁটা পরে
থেমে গেলো। খেয়ালই ছিল না কাল থেকে জল নেই।
মুম্বাইতে জলের সমস্যা না থাকলে বোঝানো যাবে না। ব্যবস্থা যদিও করা থাকে। কিন্তু আমার ল্যাটট্রিন আর বাথরুম আলাদা। কোনোরকমে আধ মগ জলে বাকি কাজ শেষ করে পাশের
বাথরুম থেকে জল নিয়ে বাকিটা সারলাম।
চা করার জন্য জল
চাপালাম। ফ্রিজ থেকে কালকের আনা দুধের প্যাকেট থেকে কাঁচা দুধ খানিকটা সসপ্যানে
ঢেলে বাকিটা দুধের পাত্রে ঢেলে দুটো গ্যাস জ্বালিয়ে দিলাম। আমার সিটিসি চা করার ধরণ একটু অন্য। দুধ ,
চা
, জল , চিনি আর এলাচ এক সাথে ঢেলে দিয়ে কম আঁচে
ফোটাতে থাকি। ধীরে ধীরে চা যখন ঘন হয়ে যায়
তখন নামিয়ে নিয়ে ছেঁকে নি। বেশ কিছুটা সময়
যায় বটে, কিন্তু চা তোফা
হয়। এই
সময়টার মধ্যে আমি ব্রাশ টা সেরে নিই।
আজ ব্রাশ সেরে রান্নাঘরে ঢুকে দেখি দুই পাত্রে ছানা। সাদা ছানা আর বাদামি ছানা। একে জল নেই।
ধরা জল আছে , কিন্তু রানিং
ওয়াটার নেই। তাই বাসন ধোয়ার বেশ চাপ।
বেসিনে নামিয়ে রাখলাম। রাত আটটায় জল আসবে
তখন ধোবো। আরেকটা ছোট বাসনে জল চাপিয়ে , র - চা বানিয়ে নিলাম।
ইন্টারনেট নেই। কিন্তু আজ রিচার্জ না করলে কাল থেকে ফোনেও ফোর
জি নেই। তাই চা খেতে খেতে পেটিএম খুলে ফোর
জি রিচার্জ করলাম। টুং করে মেসেজ এসে গেলো
যে একাউন্ট থেকে টাকা কেটে গেলো। কিন্তু
রিচার্জ ফেলিওর। যাহ শালা। একটা ছোটো টপ আপ করলাম। সেটাও ফেলিওর , কিন্তু টাকা রিটার্ন এসে গেলো নিমিষের মধ্যে। ফোর জি তে ৪০০
টাকার রিচার্জ মেরেছি। সে তো আর ফিরছে
না। কিছুক্ষন খোঁজাখুঁজি করতে করতে মেসেজ
এসে গেলো যে ভোডাফোনে সমস্যা। যদি দু
ঘন্টার মধ্যে রিচার্জ সাকসেসফুল না হয় ,
তাহলে
পয়সা রিটার্ন আসবে।
যেহেতু জল আর ইন্টারনেট
নেই। তাই জীবনে কাজ কিছুই নেই। ধরা জলে স্নান সেরে আহ্নিক করে একটা অফিসের কাজ
নিয়ে বসলাম। তখন সাড়ে আটটা। সাড়ে নটার আগে বাইরের ধোসা ইদলির দোকান খুলবে
না, আর ঘরে ব্রেকফাস্ট করার
বলতে ছিল দুধ আর কর্নফ্লেক্স যেটা কেটে গেছে।
তাই অফিসের ল্যাপটপটা চালাতে দেখলাম চলছে না। কি ব্যাপার? কালকে ব্যাগে ঢোকানোর আগে , সুইচড অফ করিনি। ঢাকাটা বন্ধ করে দিলে স্লীপ মোডে চলে যায়
বটে কিন্তু বন্ধ হয় না। ব্যাটারী পুড়তে
পুড়তে সব খেয়ে গেছে। ব্যাগ থেকে চার্জার
খুঁজতে গিয়ে দেখি চার্জার নেই ,
অফিসে
ফেলে এসেছি। খোলাই হয়নি ডেস্ক এর
প্লাগপইন্ট থেকে। আমি আবার ল্যাপটপ গুছিয়ে
ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে অফিসের সাজগোজ করে আরাম করে বসে একটা বই খুললাম।
বই এর দিকে যতটা মন
যাচ্ছিলো তার থেকে বেশি যাচ্ছিলো স্তূপাকার করা আমার চটি জুতোর দিকে। আমার খুব তাড়াতাড়ি চটি জুতো ছিঁড়ে যায়। সেটা আমার অবহেলার কারণে না কমদামি জুতো চটির
কারণে ঠিক বলতে পারছি না। তবে এক এই ওয়ান
রুম কিচেনে আমার সাথে দশ জোড়া চটি জুতো
থাকে। যার মধ্যে তিন জোড়া কাজের , বাকি গুলো পরার মতো অবস্থায় নেই। এক বিজ্ঞ জ্ঞানী বন্ধু হুম শব্দে বলেছিলো তোর
জীবনে এতো সমস্যা শুধু এই চটি-জুতো না ফেলার কারণে। যখন নতুন জুতো কিনবি তখন পুরানোটা দোকানেই ফেলে
আসবি। তাহলে পুরানো ঝামেলা গুলোও পেছনে
ফেলে আসবি। এই সব ফালতু কুসংস্কার তখন চেপে ধরে যখন মানুষ ঝামেলায় পরে। চোখ বার
বার চলে যাচ্ছিলো , আর ইচ্ছা
হচ্ছিলো ফেলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু স্নান
করে অফিসের ড্রেস পরে আর ধুলো ঘাঁটতে ইচ্ছা করছিলো না।
কাজের লোক এসে
গেলো। আমার কাজের লোক শুধু ঘর ঝাঁট দে আর
কাপড় কাচে। জলের এরকম সমস্যা বলে আমি বলে
দিলাম আজ আর কাপড় কাচতে হবে না। ও ঘর ঝাঁট
দিচ্ছিলো আর আমি এক বিদেশে থাকা বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম। হঠাৎ চিরপরিচিত ঘষ ঘষ শব্দ শুনে বুঝতে পারলাম যে কাপড় কাচা
চলছে। আমি ফোন রেখে বলতে গেলাম , বারণ করলাম তবুও কাচছো। মুখটা কাঁচুমাঁচু করে উত্তর দিলো , "কাল নেহি আয়েগী সাব। আপ
তো অফিস চলে যাওগে। আপকা সব কাম তো হো
গয়া।" মোক্ষম যুক্তি, চূড়ান্ত
কর্মপরায়ণতা , দায়িত্বশীলতার
সামনে আমি চুপ করে গেলাম। যতক্ষণে বেরোলো
ততক্ষনে আমার ধরা জলের নব্বই শতাংশ শেষ।
সাড়ে নটা বাজতে সোজা
গিয়ে হাজির হলাম আমার ব্রেকফাস্ট এর
দোকানে। লোকটি বাড়ি থেকে বানিয়ে নিয়ে আসে
আর এক ঘন্টার মধ্যে সব শেষ হয়ে যায়। ইডলি , মেদু বড়া আর ডাল বড়া সাথে সাদা চাটনি , ঝাল লাল চাটনি আর সাম্বার। পদ্ধতি অসাধারণ। সাম্বারটা শুধু গরম। কাগজের প্লেটে ইডলি বড়া দেয় আর সাথে আরেক
প্লেটে চাটনি সাম্বার
মিক্স করে দেয়।
তামিলিয়ান , তাই লোকের দেখা
দেখি আমিও চটকে খাওয়া শিখে গেছি ,
আর
ভালোও লাগে। কিন্তু আজ দেখি ভিড় কম। কি ব্যাপার ? "সাব বড়া থোড়া জল গয়া, সাম্বার জাদা
তিখা হো গয়া, চাটনি মে নমক
জাদা হ্যায়।" ঝাল হয়েছে তো কি হয়েছে,
আমার
ঝাল বেশ ভালোই লাগে। বললাম শুধু ইডলি আর সাম্বার দিতে। মুখে দিতেই ব্রম্ভান্ড
জ্বলে গেলো। ভদ্রলোকের ঠিক আছে, ঠিক আছে মাথা
নাড়িয়ে খেয়ে নিলাম বটে কিন্তু জানি পরের দিন সকালে কি হতে চলেছে।
আমি শেয়ার অটো করে অফিস
যাই। পেছনে তিনজন , সামনে ইল্লিগালি একজন। এখানে বাংলার মফস্বলের মতো একটা অটোয় দশজন যেতে
পারেনা। আমি অটো স্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়াতে
দেখি ফাঁকা। মানে অটো প্রচুর কিন্তু লোকজন
নেই। কারণটা বুঝতে পারলাম না। আমায় লাইনের
একটা অটো দেখিয়ে দিলো। গিয়ে দেখি না
আরেকজন বসে আছে। সাঁইত্রিশের গরমে যদি
দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিক্সার মাঝখানের সিটে বসতে হয় তার যে কি কষ্ট সে আর বলতে। সমস্যা আরো বাড়লো যখন আমার পরের খদ্দের আরো দশ মিনিট পর এলো। ততক্ষনে আমি জুসি হরভরা কাবাব। দুই
মহিলা। অটোয়ালা বললো সামনে
বসতে। এখানে আবার মেয়েরা সামনে বসে
না। এই সম্মানটা মেয়েরা পেয়ে থাকে। অটো ছাড়তে গরম হাওয়ার ঝাপটায় রাস্তার ধুলো আমার
চপচপে ঘামে কাদা লেপ্টে দিলো। দু মিনিটও
যায়নি , কোথা থেকে এক পুলিশ
আরেক পুলিশের বাইকে চড়ে এসে রাস্তা আটকালো।
পুরোটাই ইল্লিগাল , কিন্তু পুলিশ
কিছু সাধারণত বলে না। আজ কি হলো কে জানে , আমাদের নামিয়ে বেচারাকে মারতে মারতে থানায়
নিয়ে গেলো। লে দে কে সেটল হলো না। আমি আবার রোদ্দুরে ফিরে এলাম।
শেষমেশ যখন অফিসে
পৌছালাম তখন আমি ফিনকিরি দিয়ে ঘামছি।
বিশাল ঠান্ডা অফিস। তখনও লোকজন বেশি
আসেনি। আমার ডেস্কটা এক কোণে আর জানলার
কাছে তাই এসি থাকলেও আমার জন্য একটা টেবিল ফ্যানও দিয়েছে। আমি অন্যদের তুলনায় একটু বেশি ঘামি বলে এই
ব্যবস্থার জন্য আমি পৈতে তুলে আশীর্বাদ করি অ্যাডমিনকে। কিন্তু একি ? ফ্যান হাওয়া। যে
দমকা হাওয়ায় জল শুকানোর প্ল্যান করেছিলাম তা আর হলো না। ফোন তুলে কমপ্লেন করে ঘাড়ে মাথায় জল দিতে
বাথরুমের দিকে এগিয়ে যেতে দেখলাম বাথরুমের সামনে লেখা আছে ক্লোস্ড ফর
রেনোভেশন। নিচের তলাতেও তাই। ব্যাপার কি ? সিকিউরিটি কে জিজ্ঞাসা করতে বললো , "স্যার , জলের শর্টেজ পড়েছে তাই দশটা বাথরুমের শুধু
একটা খোলা।" বাহ্ , মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিতেও এরকম হয়। একেই বলে টার্গেট
ওরিয়েন্টেড কস্ট কাটিং।
যাইহোক সেই একটি
বাথরুমে গিয়ে দেখি নলের সামনে কোলাহল।
পুরো হাওড়া স্টেশন। আমি ওঁ বিষ্ণু ,
ওঁ
বিষ্ণু , ওঁ বিষ্ণু করে দু চার
ফোঁটা ছিটিয়ে ন্যাপকিনের দিকে হাত বাড়াতে দেখি শেষ। ডিমান্ড প্রচুর সাপ্লাই লেস। পকেট থেকে ঘামে ভেজা রুমাল দিয়ে আবার সেই ভেজা
মুখ শুকিয়ে কিছুক্ষন অন্য একটা খালি ডেস্কে বসে ঠান্ডা হলাম। তারপর কাজ শুরু। মানে মস্তিষ্কের
মুষ্ঠিযুদ্ধ। সারাদিন ক্রমাগত পরাজয়ের
শেষে সন্ধ্যেবেলা বেরোতে যাবো ,
বস
দেখলাম গেটে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। আমায়
দেখেই বলে উঠলো , "এতো তাড়াতাড়ি?" প্রত্যেক দিন একই সময়ে
বেরোই। রোজ দেখে। মাঝে মাঝে গুডনাইটও বলে যাই , তাও আজকে এই প্রশ্ন। আমি সলজ্জে বললাম , "স্যার জল ভরতে হবে।
আটটা থেকে সাড়ে আটটা জল থাকে। " মাথা নাড়িয়ে "ও হ্যাঁ ও হ্যাঁ " তো
বললো কিন্তু সাথে আরো নানা কাজের স্টাটাস জানতে চেয়ে পনেরো মিনিট দেরি করিয়ে দিলো।
আমি যদিও এই পনেরো
মিনিট হাতে রাখি। কারণ অফিস ফেরত অটোর
লাইনও অনেক বড়ো। অটোয় বসতেই সেই সকালের
মতো , "সামনে আজাইয়ে
সাব , লেডিস হ্যায়।"
পেছনের সিট্ থেকে সামনের সিটে বসার মধ্যে ঘুমন্ত পাখির হঠাৎ জেগে উঠে আমায় মনে পরে
গিয়ে সবুজ - সাদা সেলাম দিয়ে দিলো। বেশি
না ভেবে রুমাল দিয়ে পুঁছতে কাঁচে দেখি পিছনের সিটের দুই মহিলা নাক
সিঁটকোচ্ছে।
রাস্তায় পেলাম অভাবনীয়
জ্যাম আর সাথে জেলির মতো ঘাম। সামনের সিটে
অটোয়ালার বোঁটকা গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে যখন পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে তখন মানিব্যাগ খুলে
খেয়াল হলো একটাও নোট নেই। আজকে অফিস এটিএম
থেকে টাকা তোলার কথা ছিল। বস আটকে নিয়ে সব গুবলেট পাকিয়ে দিয়েছে। ভাগ্যিস আমার খুচরোর কৌটো আমার ব্যাগে
থাকে। যখন একটা একটা করে দশটা দু টাকার
কয়েন বার করে দিলাম আর অটোয়ালা প্রত্যেকটা কয়েন উল্টে উল্টে দেখে নিলো যে কোনটি এক
টাকার কয়েন কিনা তখন পেছনের সিটে বিরক্তির মুষলধারে বর্ষণ হচ্ছে।
আটটা তখন বেজে
গেছে। কিন্তু টাকা তুলতেই হবে। এটিএমের সামনে চার জন দাঁড়িয়ে আছে দেখে
স্বস্তির নিঃস্বাস ফেললাম। কিন্তু আমার সময় যখন এলো তখন ট্রানসাকশান
ডিক্লাইনেড। টাকা শেষ। দৌড়ে গিয়ে পরের এটিএমে দাঁড়িয়ে কোনোরকমে হাজার
টাকা তুলে ছুটলাম বাড়ির দিকে। কিন্তু না , মাঝখানে একটা ব্রেক। বাড়িতে সিগারেট , আর তেল শেষ। স্নান
করে আবার নিচে নেমে কিনতে যেতে হবে। সেই
আলিস্যি একটু বেশিই গায়ে লাগলো। কিন্তু
সিগারেটের দোকানে আমার ব্র্যান্ডের সিগারেটের স্টক শেষ। ব্র্যান্ড পাল্টে ফেললাম। এরপর তেল।
সময় আটটা কুড়ি। তেলে কোনো সমস্যা
হলো না। আটটা পঁচিশে গিয়ে ঢুকালাম ঘরে।
আধঘন্টা জল আসে বটে , কিন্তু তোড়ে আসে। নিমিষে সব ভরে যায়। আজ দেখলাম সাড়ে আটটার পরেও
জল পড়ছে। আমিও অতি উল্লাসে বাসনগুলো মেজে
ফেললাম। সমস্ত ঘড়া যখন ভোরে গেলো। বুঝলাম আজ আর জল যাবে না। কারণ আটটা চল্লিশ। তখনও জল পুরোদমে। বেশকিছুক্ষন ধরে শাওয়ারের
তলায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। শরীরটা ঠান্ডা হয়ে
গেলো। তারপর আচ্ছা সে সাবান শ্যাম্পু মেখে
যখন আবার শাওয়ার চালালাম তখন ফোওওওওশ করে একটা শব্দ হয়ে জল চলে গেলো। আমি তখন ইয়েতির মতো ফেনাময় সফেন সফেদ। সেই ধরা
জলেই আবার স্নান করে এই লেখা লিখতে বসলাম।
আর কারেন্ট চলে গেলো।
.......
এক অশরীরী আপনার আগে আগে চলেছে । নেগেটিভ এই সত্তা টি আপনাকে কস্তে ফেলে বেস মজা পাচ্ছে । কিন্তু আপনি তার তেমন সাথ দিলেন না । ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিলে । সব কিছু আবার পজিতিভ হতে থাকল । আপনি লিখতে বসায় ও মনে মনে হায় হায় করে উঠলো । এই একটি জিনিস আছে যা আপনার সবার প্রিয় যা আপনি কোনও অবস্থায় ছাড়েন না এটা সে লক্ষ্য করে নি । সুত্রাং আবার সে নামলো কোমর বেঁধে এবার বাত্তি গোল করে দিল ।
ReplyDelete