Friday, August 25, 2017

আধ্যানের ডায়েরি - আমায় টেরোরিস্ট বলা??





কানাঘুঁষোয় শুনতে পাচ্ছি আমার নাকি মার্কেটে নাম খুব খারাপ। খু-ও-ও-ব খারাপ। লোকে নাকি আমার মিডিল নেম টেরোরিস্ট রেখেছে।  এটা আমি জানতাম না।  খুব দুঃখ পেয়েছি শুনে।  আরো দুঃখ পেয়েছি এই ভেবে, যে এই লোকগুলো বড়ই হয়েছে , বুঝমান হয়নি।  আর দেশের হাল নাকি এরাই ধরে আছে।  এই পৃথিবীকে নাকি এরাই শিশুদের বাসযোগ্য করে যাবে। একশো বছরেও করতে পারেনি , এখন এই মাথা নিয়ে কি আর করবে। 

আসলে কোনো একশানই খারাপ নয়।  ইন্টারপ্রিটেশন খারাপ।  যাদের কথা পৃথিবী শোনে তারা যদি কাউকে ভুল বোঝে , তাহলে সবাই তাকে ভুল বুঝবে।  আমি চেষ্টা করলেও আমার নাম ঠিক করতে পারবো না, কারণ আমার কন্সট্রাক্টিভ মুভমেন্ট এরা ডেস্ট্রাক্টিভ ধরে নিয়েছে।  টেরোরিস্ট শব্দের অর্থ হলো যারা লোকেদের মনে ভয়ের উদ্রেক করে।  আমি তো এন্টারটেনার।  যদি আমার ওয়ে অফ এন্টারটেনমেন্ট লোকদের মনে ভয়ের সঞ্চার করে তাহলে , "এমা ভীতু , কাপুরুষ বা কামহিলা বলে," ওদের জাজ্জা করে ছেড়ে দেওয়া উচিত। 

আমার এখন অবসারভেশান , অবসর্প্শন , ডিসেকশন , ইম্প্লিমেন্টেশন , রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করার সময়।  ওই বড়দের মতো , "থাক, করে কি হবে ?" ভাবনা আমার মধ্যে না রাখাই ভালো।  ভবিষ্যৎ তো আমারই কাঁধে।  আর আমি যদি প্রতিটা জিনিস ঠিকঠাক না শিখি তাহলে আমি ফিউচার বিল্ড করবো কি ভাবে।  যারা আমার সমালোচনা করে , তারা নিজেরা অক্ষম। তাই কাঁকড়ার মতো পিছনে টানা তাদের  অভ্যাস। তাদের উচিত আমার প্রয়াসকে উৎসাহিত করা।  আমি যদি হালুমের লেজ ভাঙি তাহলে সেটা যদি তারা ভাঙা মনে করে, তাহলে তো হয়েই গেলো।  হালুম ইস জাস্ট এ  স্পেসিমেন ফর মাই এক্সপেরিমেন্ট।

আচ্ছা আমি একটু শর্টে বলছি আমি কি কি করি।  আমি জানিনা এর কোনটা লোকেদের মনে ভয়ের উদ্রেক ঘটিয়েছে।  আমি যেকোনো বাড়িকে   আমার ল্যাব বলে মনে করি।  নতুন কোনো ল্যাব পেলে আমার কিছু সেট অফ একশান আছে।  প্রথমে আমি বোঝার চেষ্টা করি জায়গাটা সেফ কি না।  তার জন্য মা বা বাবার কোলে সেঁধিয়ে একটু ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকি।  এতে কি হয় , ঘরের লোকজন আইস ব্রেক করতে এগিয়ে আসে।  এই আইস ব্রেকার থেকে তাদের হসপিটালিটি এনালাইজ করি।  আমি তাদের ওপেননেস আর একসেপ্টেন্স অফ চেঞ্জ বুঝে নিই , যাতে আমি বুঝতে পারি যে আমি কিছু করলে তারা ঠিক কতটা রিঅ্যাকশন দিতে পারে।  এটা ইম্পরট্যান্ট কারণ মানুষ তিন ধরণের , প্রোএক্টিভ, যারা আগেই আমায় আমার এক্সপেরিমেন্টের জিনিস এগিয়ে দেবে , রিএক্টিভ , যারা আমি কিছু করতে গেলেই হাঁ হাঁ করে তেড়ে আসবে আর রিসেপটিভ , যারা আমার সাথে চলবে , আমার কথা শুনবে ,আর আমার দরকারের জিনিস আমার ডিমান্ড অনুসারে এগিয়ে দেবে।  এই তিন ক্যাটাগরিতে প্রথমে মানুষগুলোকে বসিয়ে নিতে পারলেই আমার অর্ধেক কাজ শেষ।  কারণ ততক্ষনে আমি জানি , কাদের কাছে যেতে হবে , আর কাদের কাছে নয়। 

এরপর নিজের এলাকা মেপে নেওয়া। আমি এক দেওয়াল থেকে অন্য দেওয়ালে দু চারবার ডিফারেন্ট স্পিডে দৌড়ে নি।  আর এস্কেপ রুট মানে সমস্ত জানলা দরজাগুলো দেখেনি।  যদি জানলায় ব্লাইন্ডস থাকে তাহলে টেনে দেখে নি যে সময়কালে সেটা গুটোৱে কি না।  দু চারবার করার পর  কেউ না কেউ রিএক্টিভ মানুষ এসে আমাকে আটকে দেয়।  দরজার নব গুলোও ঘুরিয়ে দেখে নিতে হয়।  কোথাও নব থাকে , কোথাও ল্যাচ।  আগে থেকে জানা থাকলে সময়ে কাজে আসে।  তবে কোনো দরজাই আমি আপাতত খুলতে পারিনি।  তবু দেখে নি। 

এরপর হাইডিং প্লেস, হুইচ ইস অলোয়েস ইম্পরট্যান্ট ইন ক্যাটাস্ট্রফি।   আমি আমার দৈর্ঘ , প্রস্থ ও উচ্চতা মেপে একের পর এক ড্রয়ার , কাবার্ড , বা সেল্ফ খুলে খুলে দেখতে থাকি যে সেগুলো খালি কিনা।  যদি খালি না থাকে তাহলে আমিই  সেগুলো খালি করার চেষ্টা করি।  ভেতর থেকে জিনিস টেনে টেনে বার করি, আর নিচে ফেলি।  উদ্যেশ্য আর কিছু নয় , নীচে ফেললে বাড়ির লোকজন ওই জিনিসগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে রেখে আমার জন্য সেফ হাইডিং প্লেস বানিয়ে দেবে।  কিন্তু লোকে এটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা।  আর জিনিসগুলো আবার ভেতরে ঢুকিয়ে রাখে।  আমাকে তাই বার বার গিয়ে জিনিসগুলো বার করতে হয়।  রিপিটেটিভ অ্যাকশন ইস দা বেস্ট ওয়ে টু টিচ এন এনিম্যাল। 

এরপর খোঁজ পরে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের।   যেকোনো এক্সপেরিমেন্ট এর মূল হচ্ছে পাওয়ার বা এনার্জি।  আমি ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি কোথায় কোথায় প্লাগপয়েন্ট আছে। আমার দেশে এই চাইল্ড এক্সপেরিমেন্ট কে মাথায় রেখে সমস্ত প্লাগপয়েন্ট গুলো মাটি থেকে এক ফুট ওপরে রাখা হয়।  কিন্তু নানা ভাবে সেগুলোকে হাইড করে রাখার চেষ্টা করে বাড়ির লোকজন। ওরা প্লাগপয়েন্টগুলোকে দৃষ্টি দূষণ মনে করে।  তার ওপর আবার আমার বয়সী যদি কেউ থাকে, তাহলে প্লাগপয়েন্ট গুলো আবার বুজিয়ে রাখে।  তাই আমাকে ঘুরে ঘুরে আগে দেখে  নিতে হয় যে কোন কোন প্লাগপয়েন্ট গুলো অলরেডি অকুপাইড আছে।  মানে কোথাও স্পিকার লাগানো , কোথাও লাইট , কোথাও টিভি।  কিন্তু কর্ড গুলো লেগে থাকলে তো আর ব্যাপারটা টেস্ট করা যায়না।  তাই আমি প্রথমে গিয়ে সেই প্লাগগুলো খুলে দি।  আর সবাই হাঁ হাঁ করে তেড়ে আসে। আমিপ্রুফ পেয়ে যাই যে ওগুলো একটিভ এবং ইউসিবল। 

এরপর আমায় খুঁজতে হয় লুজলি বাউন্ড এলিমেন্ট।  কারণ আমি জানি ইন টাইম অফ এক্সিডেন্ট বাড়িতে যে জিনিসগুলো হালকা ভাবে পরে থাকে , বা সহজে মুভ করানো যায় , সেগুলো সবথেকে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে।  এদিক ওদিকে গড়িয়ে যায় , আর সবাই পালানোর সময় হোঁচট খেয়ে ক্যাওস সৃষ্টি করে।  ঘরের শোভা বৃদ্ধির জন্য এগুলো দরকার বটে , কিন্তু আমার কাছে এর একটা লিস্ট বানানো খুব ইম্পরট্যান্ট।  তাই আমি প্রত্যেকটা জিনিসের কাছে গিয়ে নাড়িয়ে দেখে নি সেগুলো টাইটলি কাপলড কিনা।  প্রোএক্টিভলি আমি কিছু লুজলি কাপলড দাঁড়িয়ে থাকা জিনিস মেঝেতে শুইয়ে দি , যেমন ডাস্টবিন , প্লাস্টিক চেয়ার , লম্বা কার্ডবোর্ড বক্স, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার  ইত্যাদি।  এই প্রসেসে মাঝে মধ্যেই  কিছু ফ্র্যাজাইল জিনিস পড়ে ভেঙে যায়।  সবাই এটা নেগেটিভলি নেয় ,  কিন্তু সবার এটা বোঝা উচিত, একমাত্র জীবন ছাড়া বাকি কোনো ফ্র্যাজাইল জিনিস ইউস করলে জীবনেরই সমস্যা হয়। 

টিভি,  কম্পিটার মনিটর আর ল্যাপটপ  আমার কাছে বেশ ইম্পরট্যান্ট।  কারণ এগুলো বড়দের এক্সপেরিমেন্টের জিনিস। হোক না , তবুও  আমি দায়িত্ব নিয়ে আগে ওগুলোর ফ্রাজিলিটি টেস্ট করি।  ডিউরাবিলিটি আরেকটা ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর ফর দিস লার্জ ইনভেস্টমেন্টস।  কিন্তু আমি ছাড়া কেউ সেটা চেক করেনা। ল্যাপটপ বিশেষ করে।  ওটা নাড়ালেই ঘাড় ফার গুঁজে সেধিয়ে যায় বটে।  কিন্তু কিবোর্ডে একটা থাপ্পড় কষালে , তবে বোঝা যায় যে সেটা আসলে টেকসই কিনা।  মায়ের ল্যাপটপ ওয়াটারপ্রুফ কিনা সেটা চেক করেছিলাম , কিন্তু ফেল করলো।  মোবাইল কোম্পানি গুলোতো  এখন জলের মধ্যেই  মোবাইল রেখে বেচে , কিন্তু আমার কোয়ালিটি কন্ট্রোলে সেটাও ফেল করেছে।  তাই আমি সবার বাড়িতেই চেষ্টা করি যে মোবাইল বা যেকোনো ইলেক্ট্রনিক জিনিসে জল ফেলে , বা জলে ওগুলো ফেলে চেক করার। আমার হাতের কাছে জলের সোর্স বলতে অনলি কমোটের জল।  আমি সেটাই ব্যবহার করার চেষ্টা করি।  সবাই ইশ ইশ বলে তেড়ে আসে।  আরে বাবা আমি কি গুয়ে  ফেলছি নাকী।  এইটুকু হাইজিন সেন্স আমারও আছে।  আমি আট দশবার ফ্লাশ করে তবেই বাকি সব কাজ করি, ফর্সা টুকটুকে ট্রান্সপারেন্ট জলে। 

       
এই সমস্ত সেফটি মেজার চেক করে আমি মুভ করি রান্নাঘরে।  আমার অ্যাকচুয়াল প্লেগ্রাউন্ড , এন্ড প্লেস অফ ইনোভেশন।  রান্নাঘর একটা নলেজের খনি।  আমি প্রথম দিনই অবাক হয়ে গেছি ট্রান্সফরমেশন অফ এনার্জি দেখে।  নব ঘোরালে আগুন জলে , বোতাম টিপলে শক্ত জিনিস গুঁড়িয়ে যায় , গুঁড়োতে জল ঢাললে গোল পাকিয়ে যায় , সেই গোল আবার একটা লম্বা কাঠের নিচে রাখলে পাতলা গোল হয়ে যায় , সেটা আবার আগুনে দিলে চ্যাপ্টা গোল হয়ে যায়।  এক একটার সাউন্ড এক এক ধরণের।  জল আগুনে দিলে গরম হয় , আবার কল টিপলেও গরম জল পরে।  আমি দেখতে থাকি আর শিখতে থাকি। আমি দেখেছি মা একটা গোল মতো বাক্সের ভেতর আমার দুধের বোতলটা ঢুকিয়ে দিয়ে একটা বোতাম টিপলেই গাঁ গাঁ  করে শব্দ হয়।  আমি চ্যাঁচালে কিছুক্ষনের মধ্যে থেমে  যায়।  আর হ্যা ওই বোতলটা আগে যেখানে ছিল সেটা আবার ঠান্ডা।  ঘরের থেকে ঠান্ডা।  একই ঘরে এক হাতের মধ্যে ঠান্ডা জায়গা আর গরম জায়গা।  আমি গ্যাসের নব ঘোরানোর চেষ্টা করে দেখেছি , ঘুরছে, ওই  বড় বাক্সের বোতাম টিপে দেখেছি চলছে।  আমি পারছি আমি শিখছি , আমি আগে এগোচ্ছি।  আর এই এগোনোর পথে আমায় সাহায্য করে, আমায় শক্তি যোগায়  সারা রান্নাঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা নানা ধরণের পুষ্টিকর খাবার।  তাই আই লাভ রান্নাঘর।

এইতো হলো আমার এক্টিভিটি লিস্ট।  কোন জিনিসটাকে আমি জাস্টিফাই করতে পারলাম না বলতে পারেন।  অল আর কন্সট্রাক্টিভ, এন্ড ফর দা সেক অফ হিউম্যানিটি।  সমস্যা কোথায় ? সমস্যা তাদের মনে যারা মনে করেন চেঞ্জ ইস দা অনলি কনস্ট্যান্ট।  আমি যা ভাঙি তা ভাঙার জন্যই অপেক্ষা করছিলো।  আমি শুধু সেই এনভায়রনমেন্টটা ক্রিয়েট করেছি। 

আমার বিহেভিওর নিয়েও লোকে প্রশ্ন তুলেছে।  আমি নাকি আননেসেসারি চ্যাঁচাই, আর সবাইকে বকি।  আই এগ্রিড অন চ্যাঁচানো।  কিন্তু আননেসেসারি কিনা সেটা আমি এখুনি এক্সপ্লেন করে দেব।   আমার চারপাশে যা চলছে আমার চিৎকার তার প্রতিবাদ মাত্র।  যখন কোনো ভালো গান মিন মিন করে গাওয়া হয় তখন তাকে মিনমিনে আর প্যানপ্যানে গান বলে ইগনোর মারা হয় ।  কিন্ত যদি কোনো ফালতু গান জগঝম্প শব্দযন্ত্র সহযোগে বাজানো হয় তখন মনে হয় হ্যা দম আছে গানটার মধ্যে।  আমি অনেক চেষ্টা করেছি , মিট্টি মিট্টি করে হামি খেয়ে ব্যাপারগুলো বোঝানোর জন্যে।  কেউ বোঝেনি।  আমার ডাইপার নিয়ে সমস্যা , বাবা মায়ের মধ্যে কান ফাটানো ঝগড়া , বাবার এতদিন পরে আসা ,  আমাকে জোর করে খাওয়ানো , শুধু কি খাওয়ানো?  সব কিছু নিয়ে জোর করা , জোর করে আমাকে ডে কেয়ারে দিয়ে আসা , সব কিছুর প্রতিবাদে আমি শুধু কেঁদেছি,  তখন সবাই আহা উহু করেছে।  কিন্তু কেউ তো কোনো কথা শোনেনি।  এখন আমি তাই চিৎকার করি।  চিৎকার করে বুঝিয়ে দি  ,যে আমি বড় হচ্ছি আর তোমরা বুড়ো।  আমার কথাও  তোমাদের  শুনতে হবে। 

শুধু কি এই ,  যেকোনো পার্টিতে নিয়ে গিয়ে আমায় ছেড়ে দেওয়া হয়।  একটা মিনিমাম এটিকেট পর্যন্ত নেই যে আমায় লোকেদের সাথে ইন্ট্রোডিউস এটলিস্ট করিয়ে দেবে।  শুধু কোল থেকে বাচ্চাদের ভিড়ের মধ্যে নামিয়ে দিলেই  বাবা মার কাজ শেষ হয় না।  আমিও মানুষ।  আর আমি অন্যদের মতো হ্যালহেলে  নই।  মানছি আমার বয়সীদের সাথে আমার নিজে থেকে ভাব করলে সোশ্যাল স্কিল বাড়ে।  কিন্তু সবসময় স্কুল স্কুল এনভায়রনমেন্ট তৈরী করে রাখলে যেকোনো মানুষ বোর হয়ে যায়।  আমিও যাই।  তার ওপর সব পার্টি তে সবাই আমায় একসেপ্ট করবে কেন।  সবার নিজের গ্রূপ আগে থেকে তৈরী আছে।  আমি গিয়ে মাথা গলালে সমস্যা তৈরী হয়। ওরা যখন আমাকে একসাইডে করে দেয় আর নিজের বাবা মা যখন পাত্তা দেয়  না,  তখন আমায় চেঁচিয়ে এটেনশন নিতে হয়।  যাতে লোকে বুঝতে পারে আমি আছি।  এটা চিৎকার নয় , এটা আমার এক্সিস্টেন্স রোর। 

আবার যত বড়ো হচ্ছি তত লোকে আমাকে অন্যদের সাথে তুলনা করছে।  অন্যরা ভালো , আমি খারাপ।  বাবা আবার এক কাঠি বাড়া।  বাবার মতে আমি নাকি মেয়েদের পেছন পেছন ঘুরি, আর মেয়েরা পাত্তাও দেয়না।  আমি নলেজের পেছনে ঘুরি , সবাইকে নিজের মতো ভেবোনা।  দিন রাত তো মায়ের পেছনে পেছনে ঘোরো, জল দাও ,খেতে দাও, গামছা দাও , চাবি দাও , সাবান দাও।  কখনো দেখেছো আমাকে কারো পেছনে এরকম করে ঘুরতে।  আমার অনেক বান্ধবী আছে বটে, কিন্তু তোমার মতো মিন মাইন্ডডেড কমেন্ট আমার মাথায় আসে না। 

মা আবার কোথা থেকে শুনে এসেছে, আমি নাকি আবার সবাইকে এটাক করি।  সবার হাত থেকে জিনিস কেড়ে নি।  আবার বলছি , ভুল ইন্টারপ্রেটেশন ইস দা মোস্ট এক্সপেন্সিভ থিং ইন নলেজ গ্যাদারিং। আমার কিউরিওসিটি আছে সব জিনিসে।  যা আমি জানিনা সেটা আমি দেখে , চেখে আর হাতে রেখে তবে শিখি।  কেউ কোনো জিনিস হাতে ধরে থাকলে , যদি সেটা আমি নিজে নিয়ে থাকি আর শেখার চেষ্টা করি তাতে ভুল কোথায়।  আমার হাত থেকেও তো তোমরা নানা জিনিস কেড়ে নাও।  শুধু হাত থেকে ??? মাঝে মাঝেই তো আমার মুখ খুলে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেখো আর বলো , "দেখিতো কি খেলি। " এটা অসভ্যতা নয়? আমার মতে না , তোমাদের কিউরিওসিটি তোমাদের এই কাজ করতে বাধ্য করেছে। তবে কেন আমার একটিভিটি কে এই নোংরা অ্যাঙ্গেলে  এনালাইসিস করা হয়। 

রিসেন্টলি একটা কমেন্ট শুনে রাগে আমার গা রি রি করে জ্বলে গেছে।  আমার একটা বান্ধবী আছে আয়ুষী।  আমার থেকে বড়।  বেশ সুন্দর।  কিন্ত বড্ড বেশি ভালো।  মানে সব ভালো গুলো জুড়ে জুড়ে যেন আয়ুষী তৈরী হয়েছে।  বাবা মা যা বলে তাই করে।  উল্টোটাও সত্যি।  নিজে থেকে যা যা করে বাবা মার কাছে সেটা ভালো লাগে।  সময়ে হাঁটতে শিখেছে , সময়ে কথা বলেছে , সময়ে খাবার খেতে শিখেছে।  আমার মতো একেবারেই নয়।  খুব ডিসিপ্লিন আর খুব সুন্দর।  বার বার সুন্দর বলছি বলে বাবা ডোন্ট টেক ইট আদারওয়াইজ।  ইটস জাস্ট এ ম্যাটার অফ এক্সপ্রেশন।  তা সেই আয়ুষী এখন সবার চোখে প্যারামিটার।  আয়ুসী রিচ্ড দা টপ এন্ড আই এন্ড আপ ইন বটম।  এক আন্টি এই নিয়ে কন্ট্রোভার্সিয়াল কমেন্ট করেছে , "ওদের দুজনকে এক সাথে রেখে দিতে হবে , তাহলে হয়তো আধ্যান ভালো হয়ে যাবে। " আই অবজেক্ট ফ্রম বটম অফ মাই হার্ট।  ভালো হয়ে যাবে মানে কি ? ভালো খারাপ ইস জাস্ট এ পারস্পেকটিভ।  আমার কাছে প্যান্টে পটি করা ভালো , আংকেল কমোটে পটি করে আর হাসব্যান্ড হিসেবে ভালো নয় ।  তাহলে কি আংকেলকে আমার কাছে রেখে যাবে যাতে আংকেল প্যান্টে পটি করা শিখে ভালো হাসবেন্ড হতে পারে।  মুখ খুলিও না।  ট্রুথ ইস অলওয়েজ আগলি। 


আমি সত্যি বলি বলে , আমি ভালো কাজ করি বলে , আমি সবার কথা ভাবি বলে সবাই আমাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ভেবে যা ইচ্ছা তাই বলছে।  আর এই বাবা  আর মা জুটেছে।  যেখান সেখান থেকে আমার নামে কথা শুনে এসে ডিপ্রেশনে ভোগে, আর আমাকে জ্ঞান দেয়।  আগের ডে কেয়ার থেকে কমপ্লেন এসেছিলো বলে আমার ওপর চোটপাট করলো , কিন্তু একবারও ভাবলো না ওরা  কি করেছে আমার সাথে।  হেল্প ইয়োরসেল্ফ বিফোর হেল্পিং আদার।  তোমার ছেলেকে লোকে টেরোরিস্ট বলছে আর তুমি ঢোক গিলে হেঁ -হেঁ , হেঁ- হেঁ,  বটেই তো, বটেই তো, করে চলে আসছো, এটা কোন ধারা পেরেন্টিং।  আমি আমার লেখায় আমার সমস্ত একশান , সমস্ত মুভমেন্ট জাস্টিফাই করে দিলাম।  পারো তো ক্রস করো , না পারো তো অপেক্ষা করো যতদিনে আমি তোমাদের ক্রস করে দি।  

আধ্যানের ডায়েরির আগের পাতাগুলো 


1 comment:

  1. আর পাচ্ছি না কেন? লেখা?

    ReplyDelete