'ত্রাহিমাম ত্রাহিমাম । মা
বাঁচাও , মা , ও মা , বাঁচাও ' দুচোখে জল , ভেজা - ছেঁড়া - পোড়া কাপড় , গণেশ এসে মা
দুর্গার কোলে ঝাঁপিয়ে পরে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে উঠলো। দূর্গা রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে হ্যান্ড ড্রায়ার
দিয়ে চুল শোকানো থামিয়ে গণেশের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করলো , ' কি হলো রে ? এরকম
করে কাঁদছিস কেন। তুই না সিদ্ধিখোর বাপের সিদ্ধিদাতা গণেশ ? এরকম ভিজে গেছিস কেন। আর এই চটচটে জিনিসটা কি ? ' গণেশ তখন ফুঁপিয়েই চলেছে। কোনো কথা বলতে পারছে না। ওদিক থেকে লক্ষী , সরস্বতী , কার্তিকও এসে হাজির। মহাদেব পায়ের কাছ থেকে মাথা তুলে ছিলিমে দু টান
মেরে বললো , 'গনশা, সেল্ফ প্রটেকশন এর বুলি , শুধু আওড়ালেই হয় না। নিজেকেও কিছু করতে হয়। মহাভারত লিখেই ক্ষান্ত হয়ে গেলি, এবার বি দা চেঞ্জ। '
' রাখো তোমার চেঞ্জ ' , গলা
থেকে চিঁ চিঁ করে একটা বিক্ষুব্ধ আওয়াজ বেরিয়ে এলো গণেশের। ততক্ষনে গণেশের মুখ সাদা হয়ে গেছে। লক্ষী এসে কড়ে আঙুলের যত্নলালিত বড় নখটি দিয়ে গণেশের
মুখে আঁচড় দিতে কিছুটা সাদা হাতে উঠে এলো , 'ও মা , এ তো মোম। গলা মোম কে ঢেলে দিয়েছে তোর গায়ে। নাকি পড়ে গিয়েছিলিস। ' দূর্গাও তখন হাত দিয়ে দেখে , 'ও মা তাই তো। বাছা খুলে বল।
তোর বাবা সব জানে , কিন্তু কিছুই তো বলছে না। ওগো গণশার হলো টা কি ? তুমিই বলে দাও না ।
' ওদিকে মহিষাসুর তখন ছিলিমে নতুন গাঁজা পুরে
সদ্য আগুন ধরিয়েছে। খিক খিক করে হেঁসে বললো
, 'দেখ কেমন লাগে '
গণেশ হঠাৎ রে রে করে তেড়ে এলো মহিষাসুরের দিকে , 'তুই ব্যাটা সব নষ্টের
গোড়া। ওটা মনে হয় তোরই অবতার। ' 'মা কালির
দিব্যি বলছি , আমার অবতার নয়। আমার অবতাররা এখন সিরিয়াতে আছে। এটা কেষ্টর অবতার। ' দূর্গা হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো গণেশকে , 'খুলে বল
বাপ। কার কথা বলছিস। ' গণেশ আবার শান্ত হয়ে
মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেললো , 'মা আমায় বাঁচাও। আগের বছর পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ছিল। কিন্তু আজ সেই আধ্যান বড় হয়ে গেছে। আর সেই কিউটনেস
ওভারলোডেড নেই। এখন নৃশংস হয়ে উঠেছে। এই হাল
করেছে আমার। রোজই করছে। আমি কিছুতেই কিছু করে উঠতে পারছি না। '
এইবার সবাই নড়ে চড়ে উঠলো শুধু শিব ছাড়া। মহিষাসুরের বাড়িয়ে দেওয়া গাঁজার কল্কেটা তে প্রথম
সুখটান দিয়ে বলল , 'বলে যা , সবাই শুনুক' গণেশ বলে চললো , ' সেই মহালয়া থেকে শুরু
করেছে। ঘুম থেকে বাবা মার আগে উঠে পরে। আর উঠেই আমার ওপর এটাক। প্রথম প্রথম চুষে রেখে দিতো। কিছু বলতাম না। শিশু , আমাদেরই জাতভাই। কিন্তু রোজ সকালে এইভাবে কারোর মুখের লালা মাখতে কার ভালো লাগে। কিন্তু পরশু দিন সোজা আমাকে তুলে নিয়ে ছুঁড়ে দিলো বাথরুমে। এদিক ওদিক ধাক্কা ফাক্কা খেয়ে উল্টে পাল্টে পড়লাম গিয়ে কমোটের কাছে। ভাগ্যিস ওর বাবা এসে তুলে নিয়ে গেল। কিন্তু সে কি ছাড়ার পাত্র। পরেরদিন হাতে করে নিয়ে এসে কমোটের জলে চোবানোর ব্যবস্থা করেছিলো। এবার ওর মা বাঁচিয়ে নিলো। যখন পর পর দু দিন কার্য সিদ্ধি হলো না। তখন আজকে যেই ওর মা পুজো সেরে উঠেছে সোজা আমায় তুলে জ্বলন্ত মোমবাতির গলা মোমের ওপর ফেলে দিলো। দেখো কাপড়টাও পুড়ে গেছে। দেখো, দেখো , এই দেখো। ' গণেশ সোজা দাঁড়িয়ে ছেঁড়া ধুতির দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। এতটা পুড়ে গেছে যে গণেশের জকির জাঙ্গিয়া পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।
করেছে। ঘুম থেকে বাবা মার আগে উঠে পরে। আর উঠেই আমার ওপর এটাক। প্রথম প্রথম চুষে রেখে দিতো। কিছু বলতাম না। শিশু , আমাদেরই জাতভাই। কিন্তু রোজ সকালে এইভাবে কারোর মুখের লালা মাখতে কার ভালো লাগে। কিন্তু পরশু দিন সোজা আমাকে তুলে নিয়ে ছুঁড়ে দিলো বাথরুমে। এদিক ওদিক ধাক্কা ফাক্কা খেয়ে উল্টে পাল্টে পড়লাম গিয়ে কমোটের কাছে। ভাগ্যিস ওর বাবা এসে তুলে নিয়ে গেল। কিন্তু সে কি ছাড়ার পাত্র। পরেরদিন হাতে করে নিয়ে এসে কমোটের জলে চোবানোর ব্যবস্থা করেছিলো। এবার ওর মা বাঁচিয়ে নিলো। যখন পর পর দু দিন কার্য সিদ্ধি হলো না। তখন আজকে যেই ওর মা পুজো সেরে উঠেছে সোজা আমায় তুলে জ্বলন্ত মোমবাতির গলা মোমের ওপর ফেলে দিলো। দেখো কাপড়টাও পুড়ে গেছে। দেখো, দেখো , এই দেখো। ' গণেশ সোজা দাঁড়িয়ে ছেঁড়া ধুতির দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। এতটা পুড়ে গেছে যে গণেশের জকির জাঙ্গিয়া পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।
মাতৃসুলভ মিষ্টি হাসি নিয়ে মা দূর্গা কিছু বলার আগেই কার্তিক একটা
হাড় জ্বালানো হাসি দিয়ে বললো , ' কিন্তু ভাই , ওই ছোট ছোট হাতে তোকে ধরলো কি করে।
' 'আমি চাবির রিঙে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে বেদিতে নিয়ে গিয়ে বসিয়েছে। ' সরস্বতী
আরো ফিচেল , ' কি? চাবির রিঙে !! তোর শেষ মেশ এই অবস্থা দাদা। ' গণেশ বুঝলো ভুল দিকে
ঘুরে যাচ্ছে ব্যাপারটা , ' না , মানে , ইয়ে।
মানে লোকে মনে করে আমার কাছে চাবি থাকলে ঘর সুরক্ষিত থাকবে তাই আর কি। ' 'কিন্তু
তোকে তো খুলে রেখে দিয়েছে। তার মানে তোর আর
দরকার নেই।' কার্তিকের ঠোঁট উল্টে এই কমেন্টে গণেশ ক্ষেপে আগুন, 'দেখ কাতু , তুই টেকনিক্যালি
ইনভিসিবল। খুব একটা পুজো টুজো পাস না। মায়ের সাথে সেঁটে বসে থাকিস বলে ফুললি প্রটেক্টেড। আমার ব্যাপারটা সেরকম নয়। আমাকের ইন্ডিভিজুয়ালি একট করতে হয়। লোকে আমায় ভয় আর শ্রদ্ধা করে। 'হ্যা কমোটে চুবিয়ে।
' গণেশ এবার বিপাকে , 'মা দেখোনা , দাদা বলছে। '
'এই কাতু তুই চুপ কর আমি ব্যাপারটা দেখছি। ' ' মা শুধু দেখলে হবে না। কিছু করো। হয় ওকে বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে বড় করে আমাকে
ভয় পাওয়াতে শেখাও নয় আমাকে টেম্পোরারি অন্য কোনো জায়গায় ট্রান্সফার করো। ' 'কিন্তু
বাবা , ওর তো এখন বাল্যকাল। এখন তো এসব করবেই। আমার সাথেও তো করে। সেদিন একটা ঢাক পেটানোর লাঠি নিয়ে এসে আমার মাথায়
এমন মেরেছে যে সারাদিন স্যারিডন খেয়ে থাকতে হয়েছে। এই পুজোতে তো ফুলও পাচ্ছি না। চিবিয়ে রেখেছে দিচ্ছে। এঁটো ফুল আবার আমি একসেপ্ট করিনা। প্রদীপের জায়গায়
এখন মোমবাতি জ্বালায় আধ্যানের জ্বালায়। সেটা
ও কে। কিন্তু সেই পোড়া মোমবাতির সলতে চিবিয়ে
রেখে দেয় আর কেউ জানতেও পারেনা। আমি তো জানি
, কারণ আমাকেই উৎসর্গ করা। জগন্নাথ কদিন আগেই কমপ্লেন করেছে , ওর হেলান দেওয়া স্ট্যান্ডটা
ভেঙে দিয়েছিলো। প্রায় ষোলো ঘন্টা মুখ থুবড়ে
পড়েছিল। হাত নেই তাই ওঠার ক্ষমতাও নেই। শেষে আধ্যানের মা এসে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে
রেখেছে। সবই দেখছি , কিন্তু কি করবো বল। ওটা শিশু ভোলানাথ।'
'বাহ্ বাহ্। আমার অবতার বানিয়ে
দিলে ওই পোটেনশিয়াল ক্রিমিনাল মাইন্ড কে। মানছি
আমি ধ্বংসের দেবতা, তবে আমি ওসবে নেই। ওরকম অবতার ছাড়লে আমার সুনামে চোনা পরে যাবে। কি ডেঞ্জারাস মাইরি। আমার লিঙ্গ ধরে এমন আছাড় মারলো যে দু ফাঁক। কত কষ্টে স্টিলপ্লেটিং করে বসে আছি। আমি এসবে নেই।
ওই ছেলে যখন বুড়ো হবে , দেন আই উইল টেক কেয়ার। মহিশাসুর পারবি ওটাকে কন্ট্রোল করতে। ' মহিশাসুর
সুযোগসন্ধানী , 'আমার এই ফি বছর খোঁচার ঘা থেকে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে কি?' 'না , ওটাই
মেন্ সেলিং ফ্যাক্টর। অন্য কিছু চা। ' 'তাহলে
আর আমি কেন এতো রিস্ক নেবো। মনস্টার টয় গুলোকে
যেভাবে ছুড়ে ফেলে, তোমরা তো কেউ দেখোনি। তোমরা
কমোটে চোবানোর ভয়ে সিঁটিয়ে আছো। আমার টোটাল এক্সিস্টেন্সকে সে একবার মারে একবার চোবায় , এই ভাবে দিন চলে যায়।
ওই লক্ষীই সামলাবে ওকে। ও তো সবার বাড়িতে লক্ষ্মীশ্রী
এনে দেয়। ওর কাছে ব্যাপারটা ইসি। '
লক্ষী বসে বসে ধানের শীষ চেবাচ্ছিল , ধড়মর করে উঠে বসলো , 'হোয়াই
মি। আমি কি কমপ্লেন করেছি। আমার মনেও দুঃখ আছে। আমিও অত্যাচারিত , জর্জরিত , নিপীড়িত ...' গলা আটকে
ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেললো লক্ষী। দূর্গা তার চতুর্থ
হাত বাড়িয়ে লক্ষীর মাথায় হাত রেখে বললো , 'বল মা , তুইও বল। বুঝতে পারছি খুব কষ্টে আছিস। ' কাঁদতে কাঁদতে নাক
দিয়ে সর্দি বেরিয়ে এলো লক্ষীর। দূর্গা ষষ্ঠ
হাতের কুঠার সরিয়ে একটা কাপড় তুলে নাক মুছিয়ে দিতে লক্ষী বললো , ' মা , ওই বাড়িটাতে
সত্যিই আমি বিরাজ করতাম। ঝকঝকে তকতকে সব কিছু ছিল। কি সুন্দর সুন্দর সব ডিভাইস। সব কিছু জায়গায় জায়গায় সাজানো থাকতো। আর এখন সারা কার্পেট জুড়ে ভাতের দানা। আধ্যান কিন্তু খাবে না, শুধু ছড়াবে। আর সেটা পরে মাড়াবে। সেটা পরে শুকোবে। সেটাই আবার খাবে। পায়খানার রোল খাবার টেবিলে , রাস্তার জুতো স্টোভটপে
, ছাড়া ডাইপার বিছানায় এমনকি একটা বিছানায় তো সে নিজের বাথরুম বানিয়ে ফেলেছে। ডাইপার ছাড়ালেই সুসু করে দেয়। আমার পাঁচালি চিবিয়ে চিবিয়ে ,জল ঢেলে , নাল ফেলে
একটা ঢোল বানিয়ে দিয়েছে। ওর মা পড়াও বন্ধ করে
দিয়েছে। সারাদিন এখানকার জিনিস ওখান করছে।
নিজের বাবা মার মধ্যে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয় নিজের গু চটকে। আমার গা ঘুলিয়ে ওঠে। তার উপর চিৎকার। কান পাতা দায়।
সরস্বতী তো এটলিস্ট ওর বিদ্যা বুদ্ধি বাড়িয়ে দিতে পারে। তবেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। আমি কেন ? আমি মেন্টালি ওই বাড়িটা অনেক আগেই ভ্যাকেট
করে দিয়েছি। '
'আমি জানতাম সব কিছু ঘুরে ফিরে শেষেমেশ আধ্যানের বিদ্যা বুদ্ধির ওপরেই
আসবে আর আমাকে নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া হবে।' গম্ভীর গলায় সরস্বতী বলে চললো , ' আমি চেষ্টা
অনেক করেছি। কিন্তু ব্যাটার এখনো কনসোনেন্ট
এ ইন্টারেস্ট নেই। শুধু এ , ই , আই আর ও। যেহেতু
নিজেকে ছাড়া কাউকে পাত্তা দেয়না , তাই ইউ ও
বলে না। কি যে ভাবে কে জানে। লার্নিং হবে কি করে, যদি ওর কাছে প্রিয় গায়ক শাকিরা
হয়। হিপ্স ডোন্ট লাই , এটা থেকে কি শিক্ষা
পাচ্ছে। টিভি ছাড়া খাবে না। আর টিভিতে ঠিকঠাক নার্সারি রাইমও শুনবে না। উত্তেজক জিনি ইন দা বটল শুনে হি হি করে হাঁসবে। যখন পেটে ছিল তখন মিউসিক ভালোবাসতো , আমার শান্তি
ছিল। যে বাচ্চারা মিউসিক শোনে , তাদের শেখানো
খুব একটা কঠিন হয়না। কিন্তু এ যেহারে ওর মিউজিক্যাল
খেলনা গুলোকে পেটায় , তাতে শুধু কুস্তি শেখানো ছাড়া আর কিছু শেখানো যাবে না। আমি হাত তুলে দিয়েছি বাবা। সবাইকে শেখানো যায় কিন্তু এ একটা এক্সট্রিম এঁড়ে
মানুষ। মা , কন্ট্রোল ইট। তোমাকেই বলে না , সৃষ্টি স্থিতি বিনাশায় শক্তিভুতে
সনাতনী , গুণাশ্রয়ে গুণময়ে , নারায়ণী নমস্তুতে।
ইউ টেক কেয়ার। আমার দ্বারা হচ্ছে না। '
গণেশ জুলজুল করে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। সবার কথা শুনে সে বেশ লজ্জিত। সবাই নিজের কষ্ট কিভাবে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে
যাচ্ছে। সেই শুধু কমপ্লেনিং। চিন্তিত দুর্গার মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ মুছে গণেশ
বললো, 'মা , একি বাল্মীকি কেস নাকি?' . দূর্গাও ব্যাপারটা সেই এঙ্গেলেই চিন্তা করছিলো। অনেক ভেবে নাম দিয়েছিলো আধ্যান। কিন্তু এ তো রত্নাকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অলরেডি নাম যেহেতু আধ্যান দেওয়া হয়ে গেছে , তাহলে ভবিতব্য তো ব্রম্ভা লিখেই
গেছে। মাথা ঘুরিয়ে স্বরস্বতী কে প্রশ্ন টা
ছুঁড়ে দিতে স্বরস্বতী বললো , ' আমার সাথে ব্রম্ভার কয়েকদিন ধরে আড়ি চলছে। চার মাথা দিয়ে চারপাশে ঝাড়ি মারে। আমি খোঁজ নিতে পারবো না। ' 'দেখ মা , আমাদের জানাটা খুব দরকারি। এ ছেলে যদি রত্নাকরের মতো বড় হয়ে বাল্মীকি হয়ে যায় , দেন ইট ইস ফাইন। কিন্তু না হয়ে যদি রাবনের মতো পলিটিকাল দস্যু তৈরী
হয় তাহলে আবার অকাল বোধনের টাইম পাল্টে যাবে।
অলরেডি বছরে দু দুবার এই নোংরা গঙ্গা জলে ভাসতে আমার চুলের বারোটা বেজে গেছে। আর একটা অকাল বোধন হলে মুশকিল হয়ে যাবে। তুই একটু ম্যানেজ করে দে মা। হাজার হোক স্বামী তো। '
'আচ্ছা দেখছি দেখছি। তবে
, গণেশ দাদা এখনকার মতো ইতি টানো। সবাই সহ্য
করছি , তুমিও করো। এখন সারা বছরের রসদ সংগ্রহ
করার সময়। ওই পুঁচকে আধ্যান কাঠপিঁপড়ের মতো আটখানা দাঁত বার করে কামড়াতে পাড়বে বটে কিন্তু আমাদের
উৎখাত করতে পারবে না। লেটস এনজয় দা পার্টি। তারপর ব্যাপারটা নিয়ে দেখা যাবে। ' সবাই চুপচাপ দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছে দেখে দুর্গার মনে
হলো মুড চেঞ্জ করা দরকার। একটা মুচকি হেসে
বললো , ' যাই বলো আধ্যান কিন্তু গণশার মতোই
কিউট এন্ড এডরেবল। তাইজন্যেই গণশার পেছনে পড়েছে।
' ব্যাস , সবাই একমত। লক্ষী সরস্বতী শুরু হয়ে গেলো তাদের নারীসুলভ
"কিউটনেস এডিকশান" মার্কা ভাষণ দিতে।
আর গণেশ বেচারা লজ্জায় লাল হয়ে বসে বসে ভাবতে থাকলো , বাল গণেশ আর আধ্যানের
মধ্যে মিল গুলো।
No comments:
Post a Comment