রাত্রে
হঠাত জ্ঞান দার ফোন , "টাইম ট্রাভেল করেছিস?" আমি বললাম, "ক
পেগ?" খচে খাছে উত্তর দিল, "চলে আয়। একটু নিয়ে বসি।" শুক্রবার রাত।
যত বাড়বে তত আনন্দ বাড়ার কথা। কিন্ত আজ আর জ্ঞান দার জ্ঞান শুনে সময়
নষ্ট করতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু
সদ্য বউ ছাড়া হয়েছে জ্ঞান দা। না
না বৌদি গত হয় নি। শিকাগোর
কাছে একটা শহরে চাকরি পেয়েছে। এখন জ্ঞান দা অল্টারনেট উইকেন্ডে ছ ঘন্টা করে ড্রাইভ
করছে। একা একা প্রথম উইকেন্ড , তাই প্রতীক আর নীলেশ কে নিয়ে গিয়ে হাজির হলাম জ্ঞান
দার বাড়ি। রাস্তায় আবির কে তুলে নিলাম প্রতীকের কথায়। নতুন এসেছে এখনো চোখ ফোটেনি।
জ্ঞান দা ই ফোটাক।
জ্ঞান দা
দরজা খুলেই আমাকে এটাক , "ভালো কথা জিগ্গেস করলেই তোমার মাল খাওয়ার কথা মনে
পরে। " আমি দেখলাম বেগতিক, আবির কে এগিয়ে দিয়ে বললাম, "এ নতুন জয়েন
করেছে আমাদের এখানে। তুমি চেনো তো। নিয়ে
এলাম তোমার বাক্যামৃত শ্রবণ করাতে।" উদ্ধত প্রতিমূর্তি একটু বিচলিত হয়ে পিছু
হটল। নতুন লোকের সামনে জ্ঞান টা একটু আস্তে
খোলে, "নিয়ে আয়।"
বৌদি নেই
তাই পুরো বাড়িতেই আমাদের দখল। সোফায় বসে রিমোট এ হাত রাখতে জ্ঞান দা বলে উঠলো,
" জিগ্গেস করবি না কেন তোকে ওই প্রশ্নটা করলাম?" আমি হাত সরিয়ে নিয়ে
বললাম , "কেন তুমি কি করে এলে?" "না ঠিক সেইরকম নয়। ভাবার্থে এটাকেও টাইম ট্রাভেল বলে।
" "কোনটাকে?" প্রশ্ন শুনলেই জ্ঞান দার ঠোঁটে মুচকি হাসি খেলে যায়। কারণ আসল কথায় আসার আগে হাজার ভনিতা
করা তাঁর অভ্যাস। বলল, "আচ্ছা তার আগে বলতো তোরা কোন টাইম জোনে আছিস?"
আমি বলতে যাব, জ্ঞান দা আঙ্গুল দিয়ে আবির কে দেখিয়ে বলল , "তুই বল।"
আবির যেন তৈরী ছিল, "ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম।" "বাহঃ। তা কটা
টাইম জোন আছে আমেরিকায় সেটা কি জানা আছে?" আবির সদ্য সদ্য দেশ থেকে এসেছে।
আসার আগে কোম্পানি থেকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। একে
বলে ন্যাচরালাইজেশান ট্রেনিং।
মানে আমেরিকা থাকতে গেলে যেসব জিনিস জানতেই হবে সেইসব আর কি। বলে উঠলো, "চারটে। ইস্টার্ন , সেন্ট্রাল, মাউন্টেন এন্ড
প্যাসিফিক।"
আমি পিঠ
চাপড়ালাম, "সাবাস।" কিন্তু জ্ঞান দার মুখে খুন করার পাসবিক হাসিটা ফুটে
উঠলো, "তার মানে সেই শুনেই মেনে যাওয়া জ্ঞান। বাজিয়ে দেখব না। তাই তো?" আবির অবাক , আমরাও তাই
,"যাহ বাবা। সবাই
জানে এটা। তুমি কি নতুন টাইম জোন বানিয়ে টাইম ট্রাভেল করেছ নাকি?"
"আচ্ছা ঠিক আছে। গুগল
এর জগতে তোরা যদি এইটুকু বাজিয়ে না নিতে চাস তাহলে তোদের প্রশ্ন করেই তোদের উত্তর
দিচ্ছি। আচ্ছা একটা কথা বলতো? তোরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর নাম শুনেছিস তো? এটা
কোথায়?" "আটলান্টিক " "কারেক্ট। তা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এ যারা
এসে উল্টে পড়তো তারা
তো সাবাড় হয়ে যেত শোনা গেছে। কিন্তু যারা ভাগ্যবান না তারা তো জলে প্রায় মাস দুয়েক
কাটাত? তাই নয় কি?" "কি বলতে চাও বল দিখি। তোমার এই গৌরচন্দ্রিকা বড়
বেশি।" "তাহলে বল। ওই
দুমাস বা এখনকার প্লেন এ ৮ ঘন্টায় কি তোরা কোনো সময়রেখা পার করিস না ?"
ব্যাপারটা ভাবার মত। "আরো
ভাব। এই চিংড়ি গুলো যারা সমুদ্র থেকে ধরে
আনছে সেই জাহাজ গুলো কোন সময়ে চলে। আর তোরা তো এখন জাহাজ থেকে আসা ডাটা গুলো নিয়েও
কাজও করছিস। সেটাও তো সময় নির্ভর। তাহলে সেই সময়টা কোন সময়?" "তুমিই বল।
" প্রশ্ন গুলো সত্যি আমাদের লজ্জিত করে দিল। জ্ঞান দা এবার বলতে শুরু করলো,
"তাহলে শোন। আমেরিকায়
চারটে নয় ন টা টাইম জোন আছে। অতলান্তিক
টাইম জোন থেকে পশ্চিম দিকে পর পর যেকটা বলল আবির, সাথে আলাস্কা, হাওয়াই, সামোয়া আর
চামেরো বা গুয়াম এই চারটে টাইম জোন আছে।" "অতলান্তিক টাইম জোন এর কথা
বুঝলাম। কিন্তু আলাস্কা আর হাওয়াই তো স্কেল দিয়ে সোজা লাইন টানলেই পরে। তাহলে ওরা দুটো টাইম কেন?" এবার জ্ঞান দা গম্ভীর। "কেন ঠিক বলতে পারব না।"
একটু অন্য মনস্ক , "তবে একটা মাইনাস নাইন একটা মাইনাস ১০।" "জি এম
টি থেকে?" নীলেশ বলে উঠলো। জ্ঞান দা
আবার খ্যাপা মোষের মত তেড়ে এলো, "ভারতের রাজধানী তাহলে এখনো কলকাতা। ষাট সালে
জি এম টি পাল্টে ইউ টি সি হয়েছে আর এরা এখনো একই কথা বলে চলেছে।" আবির সামলে
নিল, "কিন্তু আলাস্কা হাওয়াই টা .
. . . . ?" এবার দম ছাড়ল জ্ঞান দা, "কারণ টা বলতে পারব না তবে আলাস্কার
জন্য ডেট লাইন টা বেঁকে গেছে সেটা জানি।" একটু অপ্রস্তুত অন্যমনস্ক হয়ে গেল
জ্ঞান দা। খুব
লেগেছে।
কিতু
জ্ঞান দা না বকলে তো বোর হয়ে যাব তাই টপিক পাল্টানোর চেষ্টা করলাম, "জ্ঞান
দা। এই সামোয়া আর গুয়াম কি দেশ? কোথায়
এগুলো।" জ্ঞান দা অন্যমনস্ক ভাবে বলল, "না ইউনিয়ন টেরিটরি। এখনো দখল করে
রেখেছে। ছোট্ট ছোট্ট দুটো দ্বীপপুঞ্জ। জাপানের
ওপর লক্ষ্য রাখার জন্য। গুয়াম এ যদিও নিজস্ব গভর্নমেন্ট আছে। আমেরিকার শুধু মিলিটারী থাকে ওখানে।
কিন্তু কেন যে আলাস্কা আর হাওয়াই এর টাইম আলাদা মনেই পরছে না।" আমি আই ফোন টা
বাড়িয়ে দিলাম। "কিন্তু জ্ঞান দা। এই
টাইম জোন এর সাথে টাইম ট্রাভেল এর যোগাযোগ কি?" আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ কথা ঘোরাবার
জন্য।
জ্ঞান দা
ফোন টা পাশে রেখে দিল। চোখ টা বুজে দু মিনিট নীরবতা। জ্ঞান দার “জ্ঞান” দেহ রাখার
দুঃখে । চোখ খুলে বলল , "সিগনাল পাঠিয়ে দিয়েছি ঠিক কিছুক্ষণ বাদে বেরিয়ে
আসবে।" এইটা জ্ঞান দার এক অদ্ভূত আমদানি। তার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমরা যা দেখি সব
কিছু মাথার মধ্যে কোড হয়ে যায়। আমরা
কোনো কিছু পড়ি শুধু সেই লিংক টা শক্ত করার জন্য। যখন কোনো কিছু কিছুতেই মনে পরবে
না, তখন মন কে একান্ত করে, মন কে বলে দিলে মন আপনা থেকে সারা মাথা খুঁজে সেই তথ্য
সংগ্রহ করে সঠিক সময়ে তোমাকে বলে দেবে। যাকে বলে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস। আমরা
বিন্দু মাত্র বিশ্বাস না করলেও এটার ভেলকি আমরা বারে বারে দেখেছি।
জ্ঞান দা
চনমনে হয়ে উঠে বলল , " জানিস , আমেরিকার মূল ভূখন্ডে টাইম জোন চারটে হওয়ার
জন্য মানুষের জীবনেও কত কিছু সমস্যা তৈরী হতে পারে?" আবির বলল, "কি আবার
হবে। সূর্য্য যখন মধ্যগগনে তখনি তো বারোটা।
আর অফিস টাইম তো আর চেঞ্জ হয় না। সেই
আটটা থেকে পাঁচ টা। " জ্ঞান দা মুচকি হেসে বলল , "কট্টর ইসলামপন্থী দেশ
সৌদি আরব যখন রমজানের সময় অফিস টাইম বিকেলে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তো আমেরিকা তো
সব কিছুই পারে।" খবর টা জানা ছিল কিন্তু এখনো প্রবর্তন হয়নি তাই বিশ্বাস
পুরোপুরি ছিল না তবু... জ্ঞান দা বলে চলল, "এখন তোরা যেরকম সকাল আটটায় অফিস
আসিস তার কারন জানিস? তোরা তো নটায় আসতে পারিস।" "এটাই অফিস টাইম আবার
কি? এর মধ্যেও কারণ আছে?" জ্ঞান দা বলল , "কোনো কিছুই কারণ ছাড়া হয় না। তুমি জানো বা না জানো তাই দিয়ে পৃথিবী
চলে না। তোদের কপাল ভালো যে তোরা সেই টাইম
জোনে আছিস যে টাইম জোনে নিউ
ইয়র্ক আছে। আমেরিকার
তথা পৃথিবীর অর্থনৈতিক কেন্দ্র। যেখানেই টাকা সেখানের রুল। নিউ ইয়র্ক স্টেট কিন্তু দিন শুরু করে
৯ টা থেকে। যদিও ব্যতিক্রম প্রচুর কিন্তু তথাকথিত অফিস টাইম নিউ ইয়র্ক এ ৯ টা। আর তাদের কাজ শুরু হওয়ার আগে সব কিছু
চেক করে নেওয়ার জন্য তোরা আসিস আটটায়, শিকাগো শুরু করে সাত টায় আর যখন লস এঙ্গেলস এ ছিলাম তখন দিন
শুরু হত পাঁচটা থেকে। আমরা যদিও দেরী করে যেতাম। দেশী অভ্যেস। কিন্তু অফিসে সবাই তিনটে চারটের মধ্যে
চলে আসতো।"
"ভাবছিস
গুল মারছি তো?" আমাদের অবিশ্বাস ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে জ্ঞান দার ডায়ালগ,
" বছর খানেক ছিলাম এল এ তে। সকাল
ছটায় পৌছে যেতাম ফিরতাম দুপুর দুটোয়। তোরাও থাকলে জানতে পারবি।" বিশ্বাস না
করে উপায় নেই। জ্ঞান দা
আর কিছু হোক না হোক, মিথ্যা কথা বলে না। এ
দেশ ঘড়ির কাঁটায় চলে, তাই টাইম জোন যে মানুষের জীবনে কি বিষম পরিবর্তন ফেলে তা না
বলে উপায় নেই। তার ওপর
আছে ডে লাইট সেভিং। ভাবতে না ভাবতে জ্ঞান দা আবির কে প্রশ্ন করলো , "ডে লাইট
সেভিংস বুঝিস?" আবির ব্যাপারটা জানে কিন্তু ও আসার পর এখনো সময় পরিবর্তন হয়নি
তাই ঠিকঠাক বোঝেনা।
বলল , "বুঝি। তবে দেখিনি তো। পুরো জ্ঞান নেই। " জ্ঞান দা একটা হুম করে
আওয়াজ ছেড়ে বলল , "সামনের দোসরা নভেম্বর দেখবি সকালে এক ঘন্টা আগে উঠেছিস।
হাত ঘড়িটা দেখে বুঝতে পারবি , কারণ
মোবাইলে তো সময় আপনা থেকে পাল্টে যায় কিন্তু হাতঘড়িটা পাল্টায় না। এই যে, বাকি ভেটেরান গুলো। তোরা কি জানিস
আমেরিকায় কোথায় ডে লাইট সেভিংস হয় না। আর কেন এই ব্যবস্থা। " নীলেশ ব্যাপারটা
জানে , বলল, "আসলে এখন তো দিনের আলো সকাল ছটায় ফোটে আর রাত দশটায় শেষ হয়। কিন্তু শীতকালে ৯ টায় সকাল হয় আর ৪ টে
সন্ধ্যে তাই আর কি। কাজের
সময়টা যাতে দিনের আলোতে হয় তারই চেষ্টা।" জ্ঞানদা বলল, "করিস তো অফিসে
কাজ তাহলে সূর্য্য থাকলো কি না থাকলো তাতে তোর কি এসে যায়।" ভেবরে যায় নীলেশ।
জ্ঞান দা
বলতে থাকে, "ব্যাপারটা আজেকের নয়। বেনজামিন
ফ্রাঙ্কলিন - একশ
ডলারে যার ছবি দেখিস, প্রথম বুঝেছিল যে প্রাচীন সভ্যতা কে
ফলো করা উচিত। রোমানদের ছায়া ঘড়ি কিসে চলতো ?
সূর্যের গতির ওপর নির্ভর করে। উনি
একটি প্রজেক্ট করেন "An Economical Project for Diminishing the Cost of
Light" যাতে একটু আগে ঘুম থেকে উঠে দিনের আলোয় সব কিছু করে মোমবাতির ব্যবহার
কম করা যায়। আর তারই
ফলপ্রসু এই ডেলাইট সেভিংস। বুঝলি। যদিও সারা পৃথিবীতেই কেউ না কেউ এই ধরনের জিনিস
করেছে। তাই কেউ বলে না আমি করেছি। তবে আমেরিকায় বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিনই এর কথা প্রথম
ভাবেন। বললি না তো কোন স্টেট এই ডেলাইট সেভিংস ফলো করে না?"
"আরিজোনা।" চটপট জবাব নীলেশের। "পুরো আরিজোনা?"
"হ্যা।" "না" দৃপ্তকন্ঠে জ্ঞান দার ঘোষণা। "নাভাজো বা
নাভাহো বলে এক রেড ইন্ডিয়ান ট্রাইব আছে জানিস? এবং তাদের একটা দেশ আছে আরিজোনার
নর্থ ইস্ট এ যেখানে এই ডে লাইট সেভিংস হয়।" আমি বলে উঠলাম , "সে আবার
কি? দেশের মধ্যে স্টেট আর তার মধ্যে দেশ? " জ্ঞান দা মুচকি হেসে বলল ,
"সে গল্প অন্য একদিন। শুধু এইটুকু জেনে রাখ ওখানে ডেলাইট সেভিংস হয় না। "
"তবে
জ্ঞান দা। অনেক
কিছুই তো শিখলাম তবে টাইম ট্রাভেল টা যে এখনো বাকি থেকে গেল।" আবির ভয়ে ভয়ে
বলল। জ্ঞান দা অট্টহাসি হেসে বলল ,
"ওরে ওটা মনের এক অভিব্যক্তি। আমি যখন তোদের বৌদির ওখানে যাচ্ছিলাম গত
সপ্তাহে। তখন ফ্রিওয়ে তে ড্রাইভ করছিলাম। জিপিএস
এ দেখাচ্ছিল মিশিগান ছেড়ে ইন্ডিয়ানা তে ঢুকছি। হাতে মোবাইল টা ছিল চোখের সামনে
দেখলাম সাতটা বত্রিশ ছটা বত্রিশ হয়ে গেল। মনে এক অদ্ভূত আনন্দ হলো। শেষ এক ঘন্টায় ফিরে এলাম। তাহলে ভাব
হিসেব মত আমি ৭০ মাইল যেতে সময় নিয়েছি শুন্য সেকেন্ড। আর দেশী হিসেবে গত সত্তর মাইলে আমি যা করেছি তা হিসেবে থাকবে না। তাই বললাম এ এক ধরনের টাইম
ট্রাভেল।"
জ্ঞান
দার মাঝে মাঝে এই ন্যাকামো ভরা ভাবু কবিত্ব আমাদের বেশ সহ্য করতে হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। তবে একই জ্ঞান দা আবার হাত পা ছুঁড়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে,
"মনে পড়েছে । মনে পড়েছে। ইট নেভার ফেলস।" আমরা "কি হলো? কি হলো?
" করে উঠতে মুচকি হেসে বললো, "আলাস্কার দিন রাত চিন্তা কর। কখনো কখনো তো শুধু রাত শুধু দিন থাকে।
ওরা এটাকে এক্সটেন্ডেড ডে লাইট সেভিংস বলে। কিন্তু
হাওয়াই তো সূর্যালোকের দেশ। ওদের এত ঝামেলা নেই. তাই দুজনকে আলাদা
করা হলো। দেখলি
তো, সব আছে এই খোপরিতে শুধু আসল কোটরে
টোকা মারতে হবে ব্যাস। "
জ্ঞান দার আগের গল্প গুলো
No comments:
Post a Comment