Tuesday, February 27, 2018

এর কি নাম দেবো



কী অত্যাচার, এই কলেজ মেসে।  হঠাৎ করে শিট ফাইট, মানে গু লড়াই।  কারণ ?  কারণ কে আবার।  একমেবাদ্বিতীয়ম সুদীপ্ত দত্ত ।  বিরক্ত করার প্রজ্বলিত শিক্ষা।  প্রতিদিনের নব নব কীর্তির আজ আরেক নমুনার পূর্বানুবৃত্তি।  বিষ্ঠা প্রকৃতিতে উন্মুক্ত হয়ে স্তব্ধ করেছে স্বীয় গতি।  সে আর যেতে চায় না।   যখন প্রশ্ন এলো  , হু লেটস দা ডগ আউট, উত্তরে তারই নাম এলো যার নল সোজা।  এই সুদীপ্ত নামক বিচিত্র জীবটি , শুধু খায় , দায় , গান টান গায় আর সকাল সন্ধ্যে ভরিয়ে দেয়।  আজকের উত্তপ্ত নিশার যবনিকা পতন তারই মলত্যাগ।  

সুদীপ্তর বিষ্ঠাপতনের কর্ম আনুষ্ঠানিক ঢাকঢোলের সঙ্গে সাঙ্গ হলে  অতনুর একান্ত আপন কক্ষে প্রত্যাবর্তন এবং ভাসমান অপাচ্য খাদ্যসমূহ জীবননাম্নী তরলের ওপর নিঃসাড়ে তৃষ্ণার্তের মতো পরে থাকা বস্তুগুলির উপর দৃষ্টিপাত করতেই শত সহস্র গোলাকার প্রকোষ্ঠের ( যেগুলো জমিয়ে রাখে বালিশে) মধ্যে বিরাজমান সান্দ্র তরল মস্তিষ্ককুহরের প্রত্যেক রন্ধ্রে সাড়া তুলে দিলো ( সোজা ভাষায় প্যানে ভাসমান গু দেখে অতনুর মাথায়  মাল চড়ে গেলো ) . কিন্তু রাগ ঝাড়ার জায়গা নেই।  কারণ সুদীপ্ত তখন বিশাল নীল কড়াই এর তলায় দাঁড়িয়ে মাতৃআবাহনী গাইছে।  

সুদীপ্তর আগমনের সাথে সাথে ফুঁসে উঠলো অতনু।  কি ভীষণ অপ্রতিরোধ্য অতিরিক্ত ভরবেগের দ্রুতিতে দুর্দম গতিতেে ছুটে এসে সমস্ত বিরক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে , মুখের মধ্যে দ্বিতীয় রিপুর প্রতিফলনের প্রতিস্থাপন করে , আক্রোশের আক্রমণের অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ,  জিহ্বার অনুরণনে প্রশ্ন করলো , শালা , পায়খানায় জল ঢালিস নি কেন ?”  

সুদীপ্ত পর্বতসুমুখেত্রস্তমুশিকসম  অভিব্যক্তি নিয়ে অথচ হার না মানার  বিরক্তির প্রক্ষেপ করে চূড়ান্ত প্রতিবাদে ব্যাঘ্র হুঙ্কার ছাড়লো , না - আমি জল দিয়েছি . গু যায়নি তো আমার কি দোষ . তাহলে তো আমাকে ফ্লাশ টেনে দাঁড়িয়ে  থাকতে হয়।

অতঃ কিম।  তীব্র যুক্তির দ্বন্দ্ব , বিষ্ঠার অধিকার নিমিত্ত শাস্ত্রের বিশ্লেষণ , বিক্ষিপ্ত ঘাত প্রতিঘাত , আক্রোশ বর্ষণ ,  কখনো মুষ্ঠি কখনো ওষ্ঠ , কখনো সৃষ্টিকর্তার মুন্ডুপাতন।  সকলেই জল ঢালার চেষ্টায় বাস্পে মুখ পুড়িয়ে প্রস্থান করলো।  বেশ কিছুক্ষন পর যখন ঝড় থামলো তখন দুজনের মুখেই আঁশটে গন্ধ।  অতনু বললো , একটু শাকপাতা তো খেতে পারিস।’   

No comments:

Post a Comment