Tuesday, February 27, 2018

এর কি নাম দেবো



কী অত্যাচার, এই কলেজ মেসে।  হঠাৎ করে শিট ফাইট, মানে গু লড়াই।  কারণ ?  কারণ কে আবার।  একমেবাদ্বিতীয়ম সুদীপ্ত দত্ত ।  বিরক্ত করার প্রজ্বলিত শিক্ষা।  প্রতিদিনের নব নব কীর্তির আজ আরেক নমুনার পূর্বানুবৃত্তি।  বিষ্ঠা প্রকৃতিতে উন্মুক্ত হয়ে স্তব্ধ করেছে স্বীয় গতি।  সে আর যেতে চায় না।   যখন প্রশ্ন এলো  , হু লেটস দা ডগ আউট, উত্তরে তারই নাম এলো যার নল সোজা।  এই সুদীপ্ত নামক বিচিত্র জীবটি , শুধু খায় , দায় , গান টান গায় আর সকাল সন্ধ্যে ভরিয়ে দেয়।  আজকের উত্তপ্ত নিশার যবনিকা পতন তারই মলত্যাগ।  

সুদীপ্তর বিষ্ঠাপতনের কর্ম আনুষ্ঠানিক ঢাকঢোলের সঙ্গে সাঙ্গ হলে  অতনুর একান্ত আপন কক্ষে প্রত্যাবর্তন এবং ভাসমান অপাচ্য খাদ্যসমূহ জীবননাম্নী তরলের ওপর নিঃসাড়ে তৃষ্ণার্তের মতো পরে থাকা বস্তুগুলির উপর দৃষ্টিপাত করতেই শত সহস্র গোলাকার প্রকোষ্ঠের ( যেগুলো জমিয়ে রাখে বালিশে) মধ্যে বিরাজমান সান্দ্র তরল মস্তিষ্ককুহরের প্রত্যেক রন্ধ্রে সাড়া তুলে দিলো ( সোজা ভাষায় প্যানে ভাসমান গু দেখে অতনুর মাথায়  মাল চড়ে গেলো ) . কিন্তু রাগ ঝাড়ার জায়গা নেই।  কারণ সুদীপ্ত তখন বিশাল নীল কড়াই এর তলায় দাঁড়িয়ে মাতৃআবাহনী গাইছে।  

সুদীপ্তর আগমনের সাথে সাথে ফুঁসে উঠলো অতনু।  কি ভীষণ অপ্রতিরোধ্য অতিরিক্ত ভরবেগের দ্রুতিতে দুর্দম গতিতেে ছুটে এসে সমস্ত বিরক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে , মুখের মধ্যে দ্বিতীয় রিপুর প্রতিফলনের প্রতিস্থাপন করে , আক্রোশের আক্রমণের অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ,  জিহ্বার অনুরণনে প্রশ্ন করলো , শালা , পায়খানায় জল ঢালিস নি কেন ?”  

সুদীপ্ত পর্বতসুমুখেত্রস্তমুশিকসম  অভিব্যক্তি নিয়ে অথচ হার না মানার  বিরক্তির প্রক্ষেপ করে চূড়ান্ত প্রতিবাদে ব্যাঘ্র হুঙ্কার ছাড়লো , না - আমি জল দিয়েছি . গু যায়নি তো আমার কি দোষ . তাহলে তো আমাকে ফ্লাশ টেনে দাঁড়িয়ে  থাকতে হয়।

অতঃ কিম।  তীব্র যুক্তির দ্বন্দ্ব , বিষ্ঠার অধিকার নিমিত্ত শাস্ত্রের বিশ্লেষণ , বিক্ষিপ্ত ঘাত প্রতিঘাত , আক্রোশ বর্ষণ ,  কখনো মুষ্ঠি কখনো ওষ্ঠ , কখনো সৃষ্টিকর্তার মুন্ডুপাতন।  সকলেই জল ঢালার চেষ্টায় বাস্পে মুখ পুড়িয়ে প্রস্থান করলো।  বেশ কিছুক্ষন পর যখন ঝড় থামলো তখন দুজনের মুখেই আঁশটে গন্ধ।  অতনু বললো , একটু শাকপাতা তো খেতে পারিস।’   

Wednesday, February 21, 2018

প্রবন্ধ ২৭ - ধর্মের নাম বাংলা



“মাই মাদার টাং ইস দ্যাট ল্যাংগুয়েজ , টু সেভ ইট  পিপল স্যাক্রিফাইসড  দেয়ার লাইফ .” যেখানেই সুযোগ পাই, এই কথাটাই বলি।  কি ভালো লাগে বলতে ও শুনতে।  পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ভাষা ( এখনো পর্যন্ত ) যার রক্ষার্থে মানুষ প্রাণ দিয়েছে।  এতো বড় খেতাব আর কোনো ভাষার ভাগ্যে জোটেনি। এ ভাষা এতো ঠুনকো না , যে তোমার আমার ইংরাজীর জন্য এ ভাষা ধ্বসে যাবে।  

বাংলা নানা ভাষার সংমিশ্রণ।  আর এই মিশ্রণ আর ক্রমপরিবর্তন সর্বদা এই ভাষাকে আগে নিয়ে গেছে।  যে সয় , সে রয়।  যে যুগের সাথে চলে , সে অমর।  বাকি সব ফালতু।  তাই বেশি প্যান প্যান না করে বাংলাকে ভালোবাসাই এর নৈবেদ্য।  

বাংলা ভাষা এক ধর্ম।  যারা প্রাণ দিয়েছিলো তারা হতে পারেন মুসলমান , যারা বিশ্ববন্দিত তারা হতে পারেন হিন্দু , যারা ভারবাহক তারা হতে পারেন বৌদ্ধ , যারা প্রচারক তারা হতে পারেন ক্রিশ্চান - কিন্তু সবাই তো বাঙালি।  যেদিন গান্ডুজি এই দেশ ভেঙে দু টুকরো করে , সেদিন থেকে বাঙালির কাছে ইন্ডিয়া ফার্স্ট নয়।  বাংলা ফার্স্ট। বন্দুকের নলের সামনে ,” জি সাহাব , হাম গরিব আদমি হ্যায় ” বলে পিছু ফিরে আমরাই বলি , ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লউ সহজে .’ যখন বন্দুক ধরার তখন ধরেছি।  যখন ভ্যাজাল বকে কাজ হয়েছে তখন ভ্যাজাল বকেছি।  কিন্তু ধর্মের জোরজুলুমে কাত হয়ে যাইনি। আশফাক যখন প্রশ্ন করে নীললোহিত পড়েছিস , চন্দন তখন উত্তর দেয় হিমু সমগ্রও পড়ে দ্যাখ।  দুজনেই কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথ ঝাড়ে।  

ভারতে হিন্দুত্ববাদী , বাংলাদেশে মোল্লা ,  দুই বাংলার কুলাঙ্গার অপমান করে চলেছে তাদের আসল ধর্ম কে।  কে আল্লা বলছে, কে রাম বলছে , বলছে তো সেই বাংলাতেই।  আরবিক বা দেবনাগরীর চ্যাংড়ামো ওদের নিন্দনীয় মরণের পারে।  পৈতে ঝোলালে তবে ব্রাহ্মণ , খৎনা হলে তবে মুসলিম বা জিউ , পাগড়ি পরলে তবে শিখ , ক্রস ঝোলালে তবে ক্রিশ্চান আর বাঙালি সে তো ভাবলেই বাঙালি।  কোন ধর্ম সোজা।  মানব ধর্ম।  আর সেটাই বাংলা ভাষা।   এর তীর্থ সোফায় বসে , ধর্মাচরণ পাড়ার ঠেকে , মানত করে বই পড়া, দন্ডি কেটে আনন্দ পাবলিশারে লাইন দেওয়া , এর থেকে সোজা আর কোনো ধর্ম আছে।  লাইব্রেরী  গঙ্গাজলে ধুতে হয় না , মক্কার দিকে মুখ করে বই পড়তে হয় না , খিস্তিও মন্ত্র , দেব দেবীর ফটো আছে,  পোর্ট্রেট নয় , পঞ্চেন্দ্রীয় দিয়ে একে অনুভব করা যায়, আর হ্যাঁ ধর্মগ্রন্থ ওজন দরেও বিক্রি করলে কেউ এসে পেছনে বাঁশ ঢোকায় না।  সর্বধর্ম সমন্বয়ে সবাই কে ভালো বলে এই ধর্ম।  পুরান থেকে কোরান আর বাইবেল থেকে ত্রিপিটক টুক টাক অনুবাদে সরলীকরণ করে বিন্দাস ইনটেক হয়ে যাচ্ছে।  আর কি চাই।  

কোনো নিয়ম নেই , কোনো রাঙা চোখ নেই , কোনো বাধা বিপত্তি নেই , আছে শুধু আনন্দ। ধর্ম তা , যা ধারণ করে।  এই কুড়ি কোটি বাঙালিকে এক সাথে ধরে আছে কোন ধর্ম? পেটুক বাঙালির চিংড়ি ইলিশের লড়াই, পোস্ত শুঁটকির কম্পিটিশনের মধ্যে কোথায় সেই শাপ দেওয়া - হাওয়ায় মেশা তেত্রিশ কোটি না দেখা দেব দেবী।  যীশু , নবীর মতো আমাদেরও  পিসি সরকার আছে। অষ্টবসুর মতো কয়েকশো বসু আছে।  দেবানন্দপুর অমরাবতী।  জোড়াসাঁকোয় কৈলাশ। কলকাতা মক্কা আর ঢাকা মদিনা।  জেরুসালেম হুগলি নিয়ে মারামারি নেই।  নেই সিলেটি আর বর্ধমানের বাংলার মধ্যে ভেদাভেদ।  না আছে জিহাদ , না ধর্মযুদ্ধ , না ক্রুসেড  -  আছে কবির লড়াই আছে তর্কের পর তর্ক।  বিদেশের সনেট থেকে দেশি পয়ার।  ছন্দে ছড়ার সাথে অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতার গুঁতো।  দেহ পট সনে নট সকলই হারায়।  জিভ অসার,  অক্কা  - সব শেষ।  ফিরে আসার নেই গল্প, আছে লোকের মনে মনে অমর হয়ে থাকা। নেই টোল , নেই মাদ্রাসা -  আছে শুধু মায়ের শব্দের ভালোবাসা। নেই কোনো খাদ্যে বারণ , নেই মঙ্গল-বৃহস্পতি-শনি , নেই স্নান সেরে প্রণাম করার বাঁধা , নেই দাড়ির চুলকানি , নেই আংটির হাজা , নেই টাক ঢাকা টুপি , নেই টেকো হওয়ার ভয় , নেই দিব্যি  - নেই অভিশাপ , আছে শুধু ল্যাদ, আছে শুধু খিল্লি।  আছে পরদুঃখে ভেঙে পড়ার ইচ্ছা , আছে ‘আয় বুকে আয় ‘ বলার সাহস।  লেসবিয়ান , গে , বাই সেক্সুয়াল , ট্রান্সসেক্সুয়াল , দলিত , শিয়া , সুন্নি , ক্যাথলিক , প্রটেস্টান্ট , দিগম্বর , শ্বেতাম্বর , হীনযান , মহাযান - নেই কোনো বিভেদ। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেয়ালা , ব্রাশ করতে করতে বকবক , ট্রেনে , বাসে , দাঁড়িয়ে , শুয়ে , বাথরুমে , ল্যাট্রিনে , যেখানে খুশি যেমন ভাবে এই ধর্ম পালন করা যায়। নেই বোরখা , নেই হিজাব , নেই শুদ্ধ বস্ত্র , নেই মাথা ঢাকা দেওয়ার চাপ , নেই পৈতে কানে প্যাঁচানো আর সকাল বেলা মাইক ধরে চ্যাঁচানো। খুশিতে আছে চিৎকার , আছে রঙ্গ তামাশা , আছে দুঃখ, আছে কান্না , বিরহ আছে মিলন আছে , নেই খাজুরাহোর ক্রিটিক।  বাঁ হাত ডান হাতে নেই বিভেদ।  নেই ছোঁয়াছুঁয়ির ন্যাকামো।  নেই কোনো ধর্মস্থানে ঢোকা বারণ , নেই কোনো কথা বলা বারণ , নেই ঘুম থেকে উঠে প্রথম কোন পা ফেলবে তার বিধান।  

এই ধর্ম পালন করলেও তুমি ধার্মিক , আর না করলেও তুমি তাই।  শুধু জ্ঞান নাও আর জীবন পথে এগিয়ে চল।  কেউ এসে বলবে না তুমি বাঙালি নও।  তুমি ধর্মান্তরিতও হতে পারবে না।  কেউ তোমাকে তাড়াবে না।  কেউ তোমায় মারবে না।  কেউ এসে চাঁদাও চাইবে না।  শুধু তোমার ইচ্ছা তুমি বাংলা বলবে, কি বলবে না।  শুধু তোমার ইচ্ছাই তোমার ধর্মপালনে ও স্বর্গারোহনে সাহায্য করবে। এখন তোমার ইচ্ছা “বাঙালি ” না “বাঙালী” বলে তর্ক করবে না লেখাটা আরো একবার পরে পরেরবার সেন্সাসে ধর্ম পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেবে।  





বাকি প্রবন্ধগুলো 




Monday, February 12, 2018

প্রবন্ধ ২৬ - সব উঠোনের দোষ



ওই যে , ওই তো , হলের কোণের দিকে।  আরে ওই তো হাততালি দিচ্ছে , একবার ডান পায়ে , একবার বাঁ পায়ে ভর দিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে , সবাই টানছে , সে না না করছে , একবার ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করছে, আবার পরমুহূর্তে ব্যাকফুটে। দু বার হাত তুলল , আবার হাত নামিয়ে ফেলছে , হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক ধরেছো ওটাই আমি - প্রত্যেক সেলিব্রেশান ভিডিও তে আমার একটাই পোজ।  নৃত্যচেষ্টারত।  

সেই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। ভাইয়ের বিয়ে , কলেজ পার্টি , অফিস পার্টি , মদ খেয়ে , দুঃখে , সুখে , প্রথম বৃষ্টিতে , প্রপোসাল একসেপ্ট এ , প্রথম চাকরি তে কোনো কিছুতেই আমি নাচতে পারিনি।  এমন বিট দেব না, যে তোর পাও, হ্যাপি ফুটের মতো নেচে উঠবে।  আমি এরকম কত লোকের মহান মহান চ্যালেঞ্জ হারিয়ে দিয়েছি তা কেউ ভাবতেই পারবেন না।  কারো ক্ষমতা হয়নি এই দুই এলিফ্যান্ট ফুটকে তোলার।  হাতিও নাচে।  আমি হাতির মতো হলেও নাচতে পারিনা। লোকে কারণে অকারণে যেকোনো একটা ছুঁতোতে গান বাজিয়ে নাচতে পারে।  আমি ব্যতিক্রম।  

এমন কেও নেই যে ভাসানে নাচেনি।  আমার বন্ধরা তো আবার ভাষণেও নাচতে পারে।  আমি আলাদা।  ফ্যান্টাস্টিক ফোর সিনেমায় যখন অতিকায় বেন এর পাথুরে চোয়ালে হাত রেখে অন্ধ মহিলাটি  বললো বিইং ডিফারেন্ট ইস নট অলওয়েস এ ব্যাড থিং , আমার গেঞ্জি গামছা হয়ে গেছিলো।  কি চাপ , কি চাপ যে সহ্য করতে হয় ভাইটু সে তারাই বোঝে যারা গান চললেই দেওয়াল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।  এক কোণে , একা একা।  যেকোনো বয়সের এক একটা হাত এসে যখন হাত ধরে টানে আর বলে ‘ডান্স লাইক নোবডি ওয়াচিং ‘ তখন ওই ভুল সেন্টেন্স লেখার জন্য ইচ্ছা করে মার্ক টয়েন কে টেনে এক থাবড়া কসাই।    

এখন শুধু ওয়াচিং তো নয় , ভিডিও তুলিং ফেসবুকে আপলোড করে খিল্লি করিং। এখন তো লোকেদের অদ্ভুত নাচ নিয়ে ইউটিউবে প্লে লিস্ট পর্যন্ত আছে।  কেউ মুরগির মতো ডান্স করছে, তো কেউ সাপের মতো। কত ধরণের নাচ।  দেশি বিদেশী মিশে এখন ফিউসন।  আর আমাদের ভাসান ডান্স।  উদ্দাম সেই ডান্স সত্যি বার বার টেনে নিয়ে যায় কুড়কুড়ি আর ঢাকের সামনে।  এগিয়ে যাচ্ছি , যাচ্ছি , এবার করবোই , এবার প্রাণ খুলে নাচবোই , দৃহপ্রতিজ্ঞা , পা এগোচ্ছে , মন দৌড়োচ্ছে , হাত ওপরে , সামনে ক্যামেরা তাক করে সবাই, গেলাম নেতিয়ে।  দুটো হাত জুড়ে গেলো পা গেলো থেমে আবার হাততালি শুরু , ব্যাকফুটে আস্তে আস্তে পেছনের ভিড়ে গেলাম সেঁধিয়ে।  

সব পারি , এটা পারিনা।  মাঝে মাঝেই কোলবালিশে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি।  কিন্তু কিছু করার নেই।  লোকে কারণ বলেছে , “তোর জীবনে আনন্দ নেই”।  উদ্দাম আনন্দ থাকলে তবেই নাকি উদ্দাম নৃত্য সম্ভব। তান্ডব নৃত্য তো শিব খুশিতেই করেছিল , বৌ মরেছিল বলে। আমি তো শালা দুঃখেও নাচতে পারিনা।  বয়েস ডোন্ট ক্রাই , দে ডান্স উইথ ওল্ড মঙ্ক এন্ড ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।  আমি মাল খেয়ে টাল সামলাতেই পারিনা , তো নাচ।  কি জ্বালাতন।  

আয়নার সামনে নিজেকে খারাপ বলাটা খুব খারাপ।  তাই অনেক বার নিজেকে বলেছি হয় মাভৈ নয় ফাক অফ।  মেনে নিয়েছি , কি দরকার।  সবাই নাচলে দেখবে কে।  কিন্তু ওই , ডান্স লাইক নোওয়ান ওয়াচিং।  শালা আমি দেখছি কি না দেখছি কেউ পরোয়া করে না।  নাচের শেষে হ্যা হ্যা করে কুত্তার মতো হাঁফানো লোকেদের জল দিতে দিতেই আমার জীবন চলে গেছে।  একগাদা মাল খেয়ে চূড়ান্ত নেচে হাউ হাউ করে বমি করা পাবলিক গুলোকে জায়গায় আমিই পৌঁছে দিয়েছি।  কিন্তু কে তার দাম দেয়।  আমার তো জীবনে কোনো আনন্দই নেই।  

এর মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া , বৌ এর সাথে “শ্যাল উই ডান্স” . দিব্যি সোফায় বসে পপকর্ন খেতে খেতে মুভির রোমান্স পার্টটা উপভোগ করছিলাম।  কি করে জানবো বৌ ডান্স পার্টটা উপভোগ করছে।  মাথাতেই আসেনা কি করে ওই হাতটা উঁচু করে ধরে বৌকে গোল গোল ঘোরাবো।  পরে যখন জানলাম আমাকে কিছুই করতে হবে না , বৌই ঘুরবে আমার হাতে সুড়সুড়ি দিতে দিতে ততক্ষনে আমার হাত গেছে বেঁকে।  তার ওপর আছে ওই ধপাস করে বৌ যাবে পরে আর আমি খপ করে ধরবো।  বৌ গেলো পরে , আমার কোমরে লাগলো খিঁচ, সেই খিঁচ নিয়ে খেলাম গালাগালি, আর সাতদিন ধরে বৌ বিছানায় শুয়ে কাতরাতে লাগলো আর আমি কাতরে কাতরে ঝান্ডু বাম লাগাতে থাকলাম ।  

যেদিন ওজন দুশো পাউন্ড অতিক্রম করলো সকলে বললো জুম্বা করতে। নাচ মানেই এক্সারসাইজ।  দু মাস আগেই গরবা করতে গিয়ে দেখেছি আমি শুধু দৌড়েই গেলাম আর হ্যা হ্যা করে হাঁফালাম।  নাচ কোথায়।  আমার জিমের পাশেই জুম্বা ক্লাস দেখে আমার হয়ে গেলো। সেই লাম্বাডা গানের ডান্স দেখেছিলাম ছোটবেলায়।  কে বলে প্রেতাত্মা নেই।  এতোগুলো  মরছে, আর মরেই সবার ঘাড়ে চাপছে আর নাচিয়ে ছাড়ছে।  ওগুলো মানুষের কর্ম? কি ভয়ানক।  আমি ব্যাকফুটে।  ট্রেডমিলে হাঁটাই আমার কাছে অনেক।  

অফিসে এইচ আর রায় দিলো বেস্ট টিম বিল্ডিং এক্টিভিটি হলো ডান্স টুগেদার।  বেশ মিষ্টি পার্টি চলছিল, হাতে এক পেগ নিয়ে নতুন নতুন লোকের সাথে নেটওয়ার্কিং করছিলাম।  হঠাৎ লাইট বন্ধ হয়ে গেলো, পার্টি লাইট জলে গেলো আর কেউ একজন চিৎকার করে উঠলো , ‘হিট ইট’ আর তারপরেই একের পর এক লোক দিলো পা মাড়িয়ে।  শিঁটকে থেকে কোঁতকা সবাই ঝাঁপিয়ে পরে কাঁপিয়ে দিলো।  আমি দেয়ালে টাঙিয়ে দিলাম নিজেকে।  এক জুনিয়র দিব্যি এসে বলে দিলো , ‘কি স্যার প্রেগনেন্ড নাকি ? ‘ অন্ধকারে মুখটাও দেখতে পারলাম না।  দেখলে দিতাম অপ্রাইসলে ঠুকে।  কিন্তু তার বদলে বড় ডাউন হয়ে গেলাম।  

ধুর শালা , বেশ করেছি নাচিনি।  ভূতের রাজা কেন তিন বরে নাচার বর দেয়নি জানো , কারণ ওটা ভূতের কেত্তন বলে।  কেন নাচবো? নাচলে কি লাভ হয়।  নো ওয়ান ইস ওয়াচিং , ফরম্যাল পরে ঘামিং , কুত্তার মতো হাঁফাইং - তারওপর মদ খেয়ে নাচা , শরীরের দফা রফা।  নো , নট হেলদি।  বনধুদের পার্টিতে গল্প করবো না দুম দাম করে নাচবো।  বৌ এর সাথে প্রেম নিবেদন, না ঘামের গন্ধ শোকানো, কোনটা ইম্পরট্যান্ট।  হাতির নাচ দেখতে কিউট লাগে , কোন মোটার নাচ দেখতে ভালো লাগে কি ? ভাসানে সবাই নাচে , আর সেই জন্যই যত ঝামেলা হয়।  নাচতে গিয়ে খেয়াল থাকেনা বলেই তো যত সেক্সচুয়াল কেলোর কিত্তি হয়। ডলফিন স্পোর্টিং ড্যান্স করে , আমরা কি জলে থাকি। পাখিরা মেটিং ডান্স করে , আমরা বহু বছর আগে জন্তু থেকে মানুষ হয়েছি।  এই বিয়ের পর ফার্স্ট ডান্সের মতো ন্যাকামো আর কিছু হয় বলে আমার জানা নেই , যত্তসব কপিক্যাট ।  তারওপর জাতটাও বাঙালি।  হয় রবীন্দ্রনৃত্য নয় দয়াল বাবা কলা খাবা।  মাঝে ব্যালান্স করছে ভাসান ডান্স।  ভুঁড়ি দুলিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে নাই বা নাচলাম।  দৃষ্টিদূষণ বলেও তো একটা জিনিস আছে।  যারা তিন মিনিটের গানে এক লক্ষ স্টেপ মনে রাখতে পারে , তাদের প্রণাম।  আমি দশ হাজার শব্দ মনে রাখি এই যথেষ্ট।  ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি যে ছেলেরা নাচে তারা ন্যাকা হয়।  আজ দুনিয়া কাঁপানো ছেলেদের নাচ দেখে সেই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেলেও , সেই মধ্যবিত্ত খুঁতখুতানি ফেলি কোথায়? যদি নাচি , নো ওয়ান ইস ওয়াচিং আর না নাচলে এভরিওয়ান ইস  নোটিসিং, লাভটা কার ? আর আমি একা নই, আমার মতো অসংখ্য দেয়াল ঘেঁষা থলথলে , থপথপে , থসথসে মানুষ আছে যারা কোমড় দোলালে কুকুরের কামড়ের মতো যন্ত্রনা দেয়।  আমরা এই বেশ ভালো আছি , নাচ মেরি বুলবুল  তো প্যায়সা মিলেগা। যা পয়সা কুরোগে যা।  আমাকে ক্ষ্যামা দে।  সরি আমাদের ক্ষ্যামা দে।  আমরা দূরে দাঁড়িয়েই হাততালি দি আর উঠোনের দোষ দি।   

বাকি প্রবন্ধগুলো 


Friday, February 9, 2018

৪৫) আধ্যানের ডায়েরী - এবার বাবার দেশে






বাড়িতে একটা সাজো সাজো রব।  আমাদের যে একটা গেস্ট বেডরুম আছে যেটা আমার নার্সারি ছিল, সেটাতে হঠাৎই আমার ঢোকা বারণ  হয়ে গেছে।  কেসটা কি ? বেশ কিছুদিন ধরে উঁকি ঝুঁকি মেরে একবার দেখলাম যে আমাদের খাটের ওপর পেল্লাই চারটে সুটকেস চাপানো, ডালা গুলো খোলা। মা মাঝে মাঝেই গিয়ে কিছু না কিছু ঢেলে দিচ্ছে। নানা জামা কাপড় বের হচ্ছে নানা জায়গা থেকে।  মা বাবা দুজনেই খুশি খুশি।  ওদিক থেকে ঠাম্মা আর দিদার মুখ দিন কে দিন খুশি খুশি থেকে আরো খুশি খুশি হয়ে যাচ্ছে।  এই খুশির কারণটা কি ? 

রহস্যোদ্ঘাটন হলো যখন এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যে একদিন আমাকে নিয়ে গেলো একটা ওপেন মলে , যেখানে আমার দোকান আছে।  আমি তো স্পেশাল তাই আমার দোকান আলাদা। সেখানে গিয়ে অনেক অনেক অনেক অনেক জামা কাপড় কেনা হলো আমার জন্য।  নতুন নতুন।  আর জানতে পারলাম এবার বাবার দেশে যাবো।  দেশটা যে কি সেটা আমি বিশেষ বুঝতে পারলাম না।  কিন্তু এটা বুঝলাম বাবা যখন আমার মতো ছিল তখন ডাইপার পড়তো না , মাও না। যেটা পড়তো সেটা ন্যাপি।  আর সেই ন্যাপি নিয়েই ডিসকাশন হচ্ছিলো।  

বাবার কথায় এই তিন সপ্তাহের জন্য তো যাচ্ছি , তাতে ব্যাগে করে অতো ডাইপার কেন নিয়ে যেতে হবে, ওখানে তো ন্যাপি পরেই থাকা যায়, ওখানে তো আর কার্পেট নেই।  কিন্তু মা বলল সাবধানের মার নেই। যদি দরকার লাগে।  সেখান থেকেই আমি বুঝতে পারলাম আমি মামার বাড়ি আর আমার বাড়ি যাচ্ছি।  অনেক দূর।  আমি যেরকম ট্র্যাক্টর আর কার চালাই সেরকমই আরেকটা জিনিস করে উড়ে নাকি চলে যাবো ঠাম্মা দিদার কাছে।  

ঠাম্মা তো সেই ছোট্টবেলায় চলে  গেছিলো, দিদা কদিন পরে গেছিলো বটে, কিন্তু তাও তো অনেকদিন।  চিনতে পারবে তো।  যদি না চেনে তাহলে কি করবো। কিন্তু রোজই তো দেখি ফোনের ভেতরে।  যেমন করে বাবা চলে যাওয়ার পর দেখতো।  তবে কি বাবার বাড়ি ফোনে।  সবাই ওই ছোট্ট জায়গায় থাকে ? কি জ্বালাতন।  আমাকেও ওই ছোট্ট জায়গায় ঢুকিয়ে দেবে।  কিন্তু এখানে তো আমি আছি ফোন দিয়ে ওদের দেখবো বলে।  এখন আমায় দেখবে কে ? আমার সাথে কি আমার বইগুলো যাবে ? নাহলে সারা দিন করবো কি ? সদ্য সদ্য পড়তে শিখেছি, এখনই কেন আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পড়ায় ব্যাঘাত দেওয়া।  কি জানি বাবা, এই বড়দের ওপর কোনো ভরসা নেই।  

মা তো নাচছে।  সারাদিন নানা রকমের খাবারের নাম বলে , আর বাবা বলে ওখানে গিয়ে খেয়ো।  কিন্তু আমার খাবার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। বাবা বলতে গেলে মা বলে , ‘ বিসনেস এস ইউসুয়াল , সকালে ওট আর দই বাকিটা খিচুড়ি। ‘ সমস্যা নাকি প্লেনে।  আমরা নাকি এক দিন পুরো প্লেনে থাকবো।  আর আমার খাওয়া নিয়ে নাকি সেখানেই সমস্যা হবে।  আমি এটা বুঝতে পারিনা , খেতেই হবে এরকম কোনো মাথার দিব্যি কেও কি দিয়েছে।  রোজ রোজ ঠোসার থেকে একদিন হলেও তো মুক্তি দিতে পারে।  কিন্তু না।  দেখলাম আমার ওটের বাক্সও ঢুকে গেছে সুটকেসের মধ্যে।  

আমার একবার এক্সাইটমেন্ট হচ্ছে , একবার টেনশান হচ্ছে।  পুরানো চেনা জানা লোক আছে বটে কিন্তু জায়গাটা তো নতুন। আমার জন্য ওখানে কি কি খেলা আছে।  আমার এখানে নিজের স্কুল আছে , আমার খেলনা আছে আর আছে টিভি।  ওখানে মা তো বলছে টিভি আছে।  কিন্তু আমার তো চু চু টিভি লাগবে , সেটা কি আছে ? কি জানি বাবা।  না থাকলে যদিও বাবা ব্যবস্থা করে রাখবে সেটা আমি জানি।  বাবা ওখানের অন্য সমস্যা বলছিলো।  সবাই নাকি আমার গাল টিপবে।  আমি জানি আমি এডোরেবল এবং আদরেবল কিন্তু আদর করার তো নিয়ম আছে।  গাল কেন টিপবে বাপু।  হাত টেপো , পা টেপো , সারাদিন খেলে ওগুলোতে যন্তন্না করে।  গাল টিপবে কেন।  আমি কিন্তু হেব্বি প্রোটেস্ট করবো।  তখন আমাকে অসভ্য বাচ্চা বললে কিন্তু হবে না।  

মা বলেছে , ওখানে গিয়ে একদম ভালো বাচ্চা হয়ে থাকতে।  কারণ ওখানে সবাই আছে।  এখানে তো বাড়ির কেউ নেই , যে আছে সে অনেক দূরে থাকে।  তাই দেখা হয় না।  আমার যে অনেক অনেক অনেকে বন্ধু ভাই আর আত্মীয় আছে সেটা নাকি আমি জানিও না।  আমি নাকি বাড়ির জুনিয়র মোস্ট এখনো পর্যন্ত।  তাই আমার প্রথম দায়িত্ব হলো আমার সিনিয়র মোস্ট মানে আমার বড় ঠাম্মির কাছে আগে যেতে হবে।  সেদিন মোবাইল নিয়ে বসে থাকতে থাকতে মা লাফিয়ে উঠে কি বললো বাবাও দেখি তুড়ুক তুড়ুক নাচছে আর বলছে , ‘আমি বেশ ইমাজিন করতে পারছি আধ্যান সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরে দোল খেলছে .’ আমি ভাবলাম সে আবার কি , দোল দোল দুলুনি টাইপ ? সে তো রোজই খেলি। তাতে পায়জামা পাঞ্জাবি পড়ার দরকার কি আছে ? মা আবার গম্ভীর, না,  কেমিক্যাল দিয়ে রং বানায় সেসব লাগালে গায়ে ফোস্কা পড়ে যাবে।  কিন্তু বাবা নাছোড়বান্দা।  শেষে এই ঝামেলা মেটাতে গিয়ে হাজির হলাম ডাক্তারের কাছে।  

ডাক্তার প্রথমেই ঘাড় নাড়িয়ে বলে দিলো মস্কিটো বাইট থেকে বাঁচাতে আর নো রং ইন হোলি। দোল ছিল , হোলি হয়ে গেলো।  কি কনফিউসিং রে বাবা।  বাবা কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো, ‘আর কি করতে হবে. ’ প্রশ্নের উদ্যেশ্য আর কি কি মেডিসিন নিতে হবে।  কিন্তু না, ডাক্তার আর কিছুই বলল না।  বললো তিন সপ্তাহে কিছুই হবে না।  নো প্যাক প্যাক ইঞ্জেকশান , নো তেতো ওষুধ।  শুধু নাকি জল বাইরের খাওয়া চলবে না।  এর মানেটা কি? জল তো বাইরের ই।  জানিনা বাপু।  

তবে সবথেকে বেশি বাবা মার যা নিয়ে চিন্তা , সেটা হলো প্লেনে আমি কিরকম থাকবো।  এমন এমন কথাবার্তা বলে চললো যেন আমি সবসময় সবাইকে বিরক্তই করি।  একটা জিনিস খুব বাজে লাগলো , আমার নাকি সিট্ নেই। আমি কি এতটাই নেগলিজেবল যে আমার একটা সিট পর্যন্ত দিতে নেই। কিন্তু কঠোর পৃথিবী আর বোকা বাবা মা , আমার তো এরকমই হওয়ার ছিল।  যাইহোক ওরা বুঝবে না কিন্ত আমি প্রমিস করছি আমি একদম গুড বয় হয়ে থাকবো।  কোনো ঝামেলা করবো না।  প্লেনটা দেখতে হবে তো।  নতুন জিনিস দেখলেই আমি খুশি।  এই কমান সেন্স বাবা মার্ নেই , আর দিন রাত টেনশনে গা ভেজাচ্ছে।  

যাই হোক , আমি অনেক কিছু প্যাক করে নিয়ে যাচ্ছি।  অনেক অনেক , নতুন জায়গা , নতুন মানুষ। হোক আমি ওভারসিস সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া , কিন্তু প্রথমবার যাচ্ছি যখন তখন নিজের জিনিস গুছিয়ে নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধির কাজ। আমার টয়লেটারি আর ফুড মায়ের ডিপার্টমেন্ট।  কিন্তু খেলনা গুলো তো আমার।  তাই আমাকেই গুছিয়ে নিয়ে যেতে হবে।  অনেক অনেক কাজ।  

এখন থেকে আমরা প্রথমে গাড়ি করে নিউ ইয়র্ক যাবো।  সেই যেখানে বাবা আর দাদুর সাথে প্রথমবার ঘুরতে গেছিলাম।  সেখান থেকে প্লেনে চড়ে দুবাই।  সেখানে নাকি ছ ঘন্টা ধরে মা শপিং করবে।  আমি বুঝলাম না , মিল্ক , ওট মিল , ডাইপার সবই তো নিয়ে যাচ্ছি তাহলে আবার শপিং এর কি আছে।  জানিনা বাপু , এই জন্যেই বাবা আর মা দিন রাত ঝগড়া করে।  বাবা বলেছে মা শপিং করবে আর আমরা খেলবো।  খেলবো মানে আমি দৌড়ে বেড়াবো আর বাবা পেছন পেছন দৌড়াবে , কি মজা। দুবাই থেকে সোজা কলকাতা।  সেখানে আমাকে নিতে আসবে ঠাম্মা আর দাদু।  তারপর সেখান থেকে গাড়ি করে দাদুর বাড়ি। সেখান থেকেই শুরু হবে মজা।  অনেক অনেক মজা।  অনেক গল্প। আমার ডায়েরি লেখার প্রচুর টপিক নাকি ওখানে পাওয়া যাবে।  বাবা আবার বলেছে যারা আমার ডায়েরি পড়ে তারা নাকি সবাই আসবে দেখা করতে।  আর আমি গুনতে থাকবো ওয়া, টু , থি করে।  এখন আমি বডি পার্টস ও বলতে শিখে গেছি , হেত , শোলা , নি, টো , মিথ , টিট আরো কত কিছু।  কিন্তু হ্যাঁ , চিকে কিন্তু হাত নয়, এই বলে রাখলাম।  আমার ফার্স্ট টুর , ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল , প্লিস মেক ইট ওয়ান্ডারফুল।  



আধ্যানের ডায়েরি