প্রতিদিনই কোনও না কোনও লেখক লেখিকার গ্রুপে শুনি কেউ না কেউ
পোস্ট চুরি করে নিজেদের নামে চালিয়েছে । আমার সাথেও আগে এই ঘটনা ঘটার পর আমি আমার একটা
নিজের ব্লগ বানাই । ব্লগের সুবিধা হল , এটা কপিরাইট প্রেটেক্টেড আর সহজে অনেক গ্রুপে
শেয়ার করা যায়। যারা ফেসবুক প্রেমী তাদের জন্য আরও সুবিধা যে তারা যদি নিজের একটা ফেসবুক
পেজ বানায় তাহলে সেখানে তার লিঙ্ক পোস্ট করে দিলেই হবে। তারপর পেজের লিঙ্ক শেয়ার করে
দিন। এই প্রথায় যে লেখক তার পুরানো লেখা খুঁজে পেতে সুবিধা। আর যারা পাঠক তাদের কাছেও
খুঁজে পেতে সুবিধা। পাঠক যদি লেখকের পেজ লাইক করে তাহলে নতুন লেখা পোস্ট করার সাথে
সাথে তার কাছে খবর চলে আসবে সেই লেখক নতুন কি লিখেছে। আর ব্লগ যদি সেভ বা সাবস্ক্রাইব
করে তাহলে পাঠক লেখক একাত্ম হয়ে যাবে। লেখা চুরি করলে ফাইনও হবে। তাই সব দিক থেকে এটা
শ্রমসাধ্য হলেও দুপক্ষেরই লাভ।
আমার ক্ষেত্রে
অনেক সময় হয়েছে যে আমার লেখা যারা পড়তে ভালবাসে তারা জানেনা যে আমি আগে কি কি লিখেছি।
জখন কাজের চাপে নতুন লেখা দিতে পারিনা তখন তারা পিং করে। আমি যখন প্রশ্ন করি আমার ব্লগের
পুরানো লিঙ্কগুলো সব পরেছেন? ওরা অবাক হয়ে মেসেজ করে কই না তো। তখন ব্লগের অ্যাড্রেস
দিয়ে দিলেই তারা খুশি।
অনেক লেখক আমাকে
পিং করেছেন , ব্লগ কি করে বানানো যায়। বিশেষ করে বাংলা ব্লগ। সকলে শিল্পের দিক থেকে
তুখোড় হলেও সবার টেকনোলজিতে হাত পাকানোর সময় বা সাধ্য নেই। তাই সকলের সুবিধারথে একটা
ছোট টিউতরিয়াল বানালাম যাতে যে কেউ একটা বেসিক ব্লগ বানাতে পারে আর তাদের লেখাকে রক্ষা
করতে পারে।
ব্লগ বা অনলাইন ডাইরি বানানোর এখন হাজার ওয়েবসাইট আছে। আমি বহু
বছর ধরে লিখছি আর বেছে নিয়েছে blogspot.in কে। এটা গুগলের বানানো তাই নির্ভরযোগ্য। এই টিউটোরিয়াল সেই
ব্লগস্পটেই বানানো।
প্রথমত আপনার একটা জিমেল আইডি লাগবে, যেটা আসা করি এখন সবার
কাছেই আছে। এছাড়াও কয়েকটা জিনিস হাতের কাছে রাখা উচিত , সেই পূজার ফর্দর মত। যাকে আমরা
prerequisite বলব ।
~~prerequisite~~
১) জিমেল আইডি ও পাসওয়ার্ড ।
২) ব্লগের একটা নাম । অনেক গুলো খুঁজে রাখলে ভালো কারন এক নামে
দুটো ব্লগ থাকে না ।
৩) প্রথম লেখা ( ব্লগপোস্ট ) ও তার নাম। বাংলায় টাইপ করে রাখুন
কোনও ওয়ার্ড ফাইলে।
স্টেপ ১
http://www.blogger.com/ পেজটা
যে কোনও ব্রাউসারে ( আমি গুগল ক্রম ব্যবহার করি) খুলুন। নিচের ছবির মত একটা পেজ পাবেন।
এরপর “Create Your Blog” বাটনে ক্লিক
করুন। নিচের ছবির মত পরের পেজ পাবেন । আমি ব্লগের নাম দিয়েছি “চুরি থেকে বাঁচতে”।
আপনার নামটা “টাইটেলে” লিখে দিন। তারপর অ্যাড্রেস এর জায়গায় নামটা ইংলিশে লিখে দিন
। আমার নিজের ব্লগ “দেয়ালা” র অ্যাড্রেস কিন্তু arkalekhalekhi.blogspot.com এবার বুঝে নিন। আপনি যে নামটা অ্যাড্রেসে দেবেন,
সেটাই আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস হয়ে যাবে। তাই সাবধানে ছোট নাম ব্যাবহার করুন। নামটা
দেওয়ার সাথে সাথে দেখবেন যে সেটা চেক করে বলে দেবে “The Blog address is available” যদি না বলে তার মানে আপনাকে নতুন নাম দিতে
হবে। অন্য কেউ নামটা নিয়ে নিয়েছে। এটা একটা বেশ ঘামঝরান প্রক্রিয়া। কিন্তু লেগে
থাকুন। যখন পছন্দমত নাম এভেলেবল হয়ে যাবে তখন থিম সিলেক্ট করুন। থিম পরে পালটানো
যাবে তাই যেকোনো থিম সিলেক্ট করে “Create Blog” এ ক্লিক করুন। আমার মতে শুরু করা উচিত কনটেম্পো বা
সিম্পল থিম দিয়ে।
আপনার ব্লগ তৈরী। নিচের পেজ দেখতে পাবেন । আপনার
ব্লগের নাম বাঁদিকের টপে দেখতে পাবেন। এবার আপনার লেখার পালা। “New Post” বাটনে গিয়ে ক্লিক করুন।
নিচের ছবির মত এডিটর খুলে
যাবে। সেখানে লেখার নাম দিন আর তারপর নিচের বক্সে লিখতে থাকুন। একটা সাধারন লেখা
অনায়াসে এই এডিটরে লেখা যায়। যদি নিজের মত ফরম্যাট চান যা এতে সম্ভব নয় সেটা
ওয়ার্ড এ ফরম্যাট করুন । আর কপি পেস্ট করে দিন এখানে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ওয়ার্ড
এর ফরম্যাট এখানে চলে যায়। তাই সমস্যা
বিশেষ নেই । লেখা শেষ হলে “publish” বাটনে ক্লিক করলেই লেখা পোস্ট হয়ে যাবে।
পোস্ট হলে আপনি এরকম একটা স্ক্রিন পাবেন। লেখার নিচে “View” বাটনে ক্লিক করলে আপনার লেখা ফুটে
উঠবে আপনার ব্রাউসারে ।
নিচে
ওপরের এডিটরে লেখাটা একটা পেজ হয়েছে। যার এড্রেস দেখবেন এড্রেস বারে। সেই
অ্যাড্রেস যেকোনো জায়গায় পেস্ট করলে লেখাটা শেয়ার হয়ে যাবে।
আপনাদের সুবিধারথে এই লেখাটা আমি পোস্ট
করছি যেভাবে সেটারও উদাহরন নিচে দিলাম।
ওপরে “নিউ
পোস্ট” এ ক্লিক করলে এডিটর আসে ।
পাবলিশ
করলে এই পেজটা আসে
আর
দেখতে গেলে এই লিঙ্ক তিরী হয়ে যায়
যেটা
আমি পোস্ট করি আমার ফেসবুক পেজে
আর সেটা
আমি শেয়ার করি নানা গ্রুপে
এটা ছিল
একেবারে বেসিক শুরু। যারা যারা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন । তারা করে ফেলুন আর ব্লগকে
কি করে সুন্দর বানাতে হয় তার জন্য প্রশ্ন করুন। ব্লগের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কোনও সীমা
পরিসীমা নেই। তাই যত বেশী সেটিংস্ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন তত সুন্দর ব্লগ বানাতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment