একটা হাথ এসে পরল অম্বরিশের গায়ে।
এক তীব্র বিরক্তিতে হাতটা সরিয়ে দিতে গিয়ে ,
নরম হাতটা হঠাত করে তার চোখটাকে সরিয়ে নিয়ে গেল ,
অন্ধকার ঘরে জলে থাকা ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে
পাশে শুয়ে থাকা অর্পিতার দিকে।
বিরক্তিটা মিলিয়ে গেল।
ঘুমে আচ্ছন্ন অর্পিতার বন্ধ চোখদুটির দিকে তাকিয়ে ,
হাতটাকে টেনে বুকের কাছে রাখল সে।
এই একটু আগেও , "ঘুমিয়ে পর " বলে দশবার অম্বরিশের কাজে ,
ব্যাঘাত ঘটিয়ে ছিল এই হাতটাই।
এই হাতটাই আজ থেকে অনেক বছর আগে ,
ছুঁতে চেয়েছিল অম্বরিশ।
অর্পিতা চেয়েছিল সময়, আরো ভাবতে।
মানসিক আর শারীরিক সমস্ত যোগ্যতা প্রদর্শনের তাগিদে ,
অম্বরিশ এক করে দিয়েছিল দিন রাত।
স্বপ্ন ওই হাত দুটো ধরার।
সেই হাত সে আজ প্রত্যাক্ষান করতে চাইছিল ,
শুধু সেই হাত দুটো সামগ্রী দিয়ে ভরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছায়।
অম্বরিশ তাকিয়ে ছিল নিষ্পলক,
তার চোখ ছিল অর্পিতার শ্রান্ত নিস্তব্ধ পলক দুটির দিকে,
ঈর্ষা জেগে উঠছিল তার কর্মদগ্ধ , ক্লান্ত ভ্রুক্ষেপে।
এই ইর্ষাই তার চাহিদা ছিল,
নিজের অস্তিত্বের প্রখর উত্তাপে , অন্য এক জীবন কে উষ্ণতা দেওয়ার।
পরিবর্তে এক শান্তি, এক নরম স্পর্শ ,
আর নিভৃত একাকিত্বে নিরবিচ্ছিন্ন সখ্যতা।
এই মধ্যরাতে, ঘুমন্ত অর্পিতার পাশে , তার হাত বুকে জড়িয়ে ধরে
সেই শান্তির খোজে চোখ বুজে ফেলল অম্বরিশ।
No comments:
Post a Comment